Redmi Note-11 বাজেটের সেরা ফোন হতে পারে আপনার জন্য

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে লঞ্চ হল শাওমি সিরিজের Redmi Note-11

Redmi Note-11 camera section


অবশেষে লঞ্চ হয়ে গেল বিশ্বব্যাপী পরিচিত এন্ড্রয়েড‌ ফোন কোম্পানী শাওমীর রেডমি সিরিজের Redmi Note-11। বলা চলে শাওমি ইউজার তথা ফ্যানদের জন্য এক মহা সুখবর নিয়ে এসেছে এই Redmi Note-11

তবে এন্ড্রয়েড ফোন কিনতে গেলে সবাই যতটা না এর কোয়ালিটির কথা চিন্তা করে তার চেয়ে বেশি চিন্তা করে এর দামের। কারণ কোয়ালিটি বিচারে আপনার একটা ফোন খুবই পছন্দ হল কিন্তু এর দামের ব্যাপারে যখন গেলেন দেখা গেল সেটা আপনার বাজেটের বাইরে। তখন প্রিয় ফোনটি আপনার না কিনেই চলে আসতে হবে। হ্যা , ঠিকই ধরেছেন। আমরা কথা বলতে যাচ্ছি বাংলাদেশে Redmi Note-11 এর বর্তমান মূল্য নিয়ে। এর ৪/৬৪ তথা ৪ জিবি রেম এবং ৬৪ জিবি রম ভার্সনটির মূল্য ১৬,৪৯০ টাকা। যা বাংলাদেশের অধিকাংশ এন্ড্রয়েড ফোন ইউজারদের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে। এই দামের মধ্যে অনন্য ফিচার যেটি পাবেন সেটি হল এর ফুল HD রেজ্যুলেশনের অ্যামুলেট প্যানেল যা ৬.৪ ইঞ্চি। যা এই বাজেটের অন্যান্য স্মার্টফোনের মধ্যে পাওয়া যায় না। এর ব্রাইটনেসও খুব ভালো প্রায় 1080×2400P। খুবই ব্রাইট এবং কালারফুল ডিসপ্লে।

আরো একটি চমৎকার বিষয় হল এর প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগনের। এই কম বাজেটের মধ্যে আপনি কোয়ালিটি ফুল অনেক কিছুই পেয়ে যাচ্ছেন। Redmi Note-11 এর রেয়ার প্যানেলটি অর্থাৎ পেছনের দিকটা প্লাস্টিক পলিকার্বনেটের। তবে আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন না। পেছন দিকটা খুবই ঝকঝকে এবং শাইনি কালার। এর বডি ফ্রেমটা অনেকটাই আইফোনের মত বক্স আকারের।

এর ডান দিকে রয়েছে হোম বাটন সাথে ফিঙ্গারপ্রিন্ট কানেক্টেড। নিচের দিকটাতে রয়েছে একটি সেকেন্ডারি স্পিকার , ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক , সেই সাথে রয়েছে আইআর ব্লাস্টার। শাওমির এই বিষয়টা সবচেয়ে ভালো এবং সেই সাথে তারা দুইটা স্পিকারও দেওয়ার চেষ্টা করে। এর চার্জিং প্লটটা হল ইউএসবি টাইপ-সি

Redmi note 11


ডানদিকে রয়েছে সিম কার্ড স্লট। Redmi Note-11 এর ডিসপ্লেকে প্রোটেকশন করছে কোর্নিং গোরিলা গ্লাস-৩ (Corning Gorilla Glass 3)। সেই সাথে রয়েছে ডুয়েল স্পিকার উপরে একটা এবং নিচে আরেকটা। Redmi Note-11 এর আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর সাউন্ড কোয়ালিটি। খুব লাউডলি বাজিয়েও কোন সমস্যা বা ডিসটারবেন্স পাওয়া যায়নি। খুবই ক্লিয়ার সাউন্ড কোয়ালিটি।

ক্যামেরা সেকশন

এবার আসা যাক এর ক্যামেরা সেকশনে। এর মোট ক্যামেরা রয়েছে পাঁচটি। Redmi Note-11 এর রেয়ার ক্যামেরা বা সামনের ক্যামেরা হল ৫০ মেগাপিক্সেলের (50 megapixels rare camera)। ৮ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড সেন্সর (8 megapixels ultra-wide sensor)। এর ডেপ্থ সেন্সিং ক্যামেরা হলো টু মেগাপিক্সেলের (2 megapixels depth camera)। ম্যাক্রো মেগাপিক্সেল ক্যামেরাও টু মেগাপিক্সেলের (2 megapixels macro camera)। ১৩ মেগাপিক্সেলের শ্যূটার রয়েছে ফ্রন্ট ক্যামেরায় (13-megapixels on front camera)

Redmi Note-11 এর মেইন ক্যামেরা খুবই ন্যাচারাল ফটোশুট করতে পারে। তবে কালারকে মনে হয় কিছুটা বুস্ট-আপ করে। এর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললে ছবির চারপাশে কিছুটা সফট ভাব পাওয়া যায়। প্রোপার লাইটে খুব ভালো ইমেজ আসে। তবে লো লাইটে ততটা পারদর্শী না। তবে Redmi Note-11 পোর্ট্রেড মোডের জন্য খুব ভালো ক্যামেরা।

এবার আসা যাক Redmi Note-11 ভিডিও রেকর্ডিং এর বেলায়। সম্পূর্ণ 1080P তে এর ভিডিও রেকর্ড করা যাবে অর্থাৎ ফুল এইচডিতে। তবে এর আগের ভার্সন রেডমি নোট-১০ এ 4K তে ভিডিও রেকর্ড করা যেত।

এবার কথা বলা যাক এর পারফমেন্স সেকশনে। বাংলাদেশে এর তিনটি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ হয় তা হল 4/64 GB , 4/128 GB এবং 6/128 GB। এর প্রসেসর হিসেবে থাকছে Qualcomm 6 nm Snapdragon। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রান করছে Android-11। তবে বড় সুবিধা হল আপনি এর ব্যাটারি ব্যাকআপটা ভালো পাবেন। গতানুগতিকভাবে একই সাথে অনেকগুলো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলেও এর গতি স্লো হয়ে যায়নি। তবে 4GB রেম এর ভার্সনটি যদি কিনেন তাহলে একসাথে অনেকগুলো ভারি এপ্লিকেশনের সাথে মাল্টি টাস্কিং করলে কিছুটা স্লো হতে পারে পারফরম্যান্স।

গেমিং এর জন্য Redmi Note-11

Redmi note 11 gaming test


গেমিং এর জন্য এই ফোনটিতে পাবজি , সিওডি ইত্যাদি গেম প্লে করে দেখা হয়েছে। তবে পাবজিতে এসে পারফরম্যান্স কিছুটা ব্লার হিসেবে দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ আপনি মিডিয়াম ব্যালেন্স রেখে খেলতে পারবেন তবে এইচডি হাই ফ্রেমে খেলতে গেলে হয়তো কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে দীর্ঘক্ষণ গেমিংয়ে এটি হিটআপ হচ্ছিল না। আপনি চাইলে খুবই স্মোথলি খেলতে পারবেন।

স্মার্টফোনটিকে পাওয়ার দেওয়ার জন্য রয়েছে 5000mAh এর ব্যাটারি এবং 33W এর চার্জার। এর পারফরম্যান্স স্লিপে রয়েছে ফুল চার্জড হতে সময় লাগে ৬০ মিনিট। তবে আমাদের ফুল চার্জড করতে ১ ঘন্টা ৫ মিনিটের মতো লেগেছে। অর্থাৎ বেশ দ্রুত সময়ে চার্জ হয়। যদি আপনি ফোনটি ওয়াই-ফাই দিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন প্রায় ৭ ঘন্টার মত। যারা রেগুলার ইউজ করেন তারা প্রায় একদিনের মতো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন আর যারা হেভি ইউজার তাদের হয়তো দিনে একবার চার্জ দেওয়া লাগতে পারে।

সর্বোপরি, এই ছিল শীঘ্রই জাতীয় ফোন হতে যাওয়া Redmi Note-11 এর রিভিউ। আশা করি আপনাদের ভালোই লেগেছে।

আরও পড়ুন 

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous September 11, 2022 at 3:12 PM

    ধন্যবাদ ভাই এই লেখাটা পড়ে আমার অনেক উপকার হলো

Add Comment
comment url