কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার পরীক্ষিত উপায়। কম্পিউটার ফাস্ট হবেই

আজকাল windows-10 ব্যাবহারকারীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ল্যাপটপ স্লো ডাউন করে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকলেও কয়েকটি ইস্যু সলভ করলেই আপনার ল্যাপটপ বা পিসিকে করে ফেলতে পারবেন আপনি সুপার ফাস্ট। এই পোস্টে windows 10 স্পিড আপের জন্য যেসব মেথড বলা হবে তা পরীক্ষিত এবং windows 10 স্পিড আপের জন্য মারাত্মক হেল্পফুল। এবার তাহলে ট্রিক্সগুলো শেয়ার করে জেনে নেয়া যাক কম্পিউটার ফাস্ট করার উপায়সমূহ

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার পরীক্ষিত উপায়

ট্রিক্স-১ : কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় ; স্টার্ট আপ প্রোগ্রামের অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের ব্যাকগ্রাউন্ড রানিং বন্ধ করে দেওয়া

প্রথমত আপনার কম্পিউটার যখন রান করে তখন একসাথে অনেকগুলো সফটওয়্যার নিয়ে রান করে। কিন্তু আপনার সবগুলো সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় না। তাই অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলোকে ব্যাকগ্রাউন্ডে অফ করে রাখলে আপনার কম্পিউটার তথা windows-10 আগের চেয়ে অনেক‌ গুণে ভালো পারফর্ম করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেটা কিভাবে করবেন।

প্রথমে আপনার কি-বোর্ডের ctrl এবং alt বাটন একসাথে চেপে ধরে del বা delete বাটনে প্রেস করতে হবে। তারপর আপনার সামনে নীল কালারের একটা ইন্টারফেস চলে আসবে। সেখানে সবার শেষে যে অপশনটি আছে তা হল task manager। 

আপনাদের task manager এ ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনাদের সামনে নতুন একটা ইন্টারফেস ওপেন হবে, তারপর উপরের মেনু বার থেকে startup অপশনে ক্লিক করবেন। 

তারপর আপনার কম্পিউটার ওপেন হওয়ার পর যেসব সফটওয়্যার রান করে সবগুলির লিস্ট দেখাবে আপনাকে। সেখান থেকে আপনার যেসব সফটওয়্যারের প্রয়োজন নেই সেসব মাউস এর রাইট বাটনে ক্লিক করে disable অপশনে গিয়ে ডিসেবল করে দিবেন।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন

যেমন ইমেজ এ যেসব সটওয়্যার দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে অভ্র কীবোর্ড প্রয়োজন আছে এবং আপনার বিভিন্ন কাজে লাগতে পারে কিন্তু এর পরে যে সফটওয়্যারটিকে দেখা যাচ্ছে যেমন aweray remote সেটার কোনো প্রয়োজন নেই আপনার কম্পিউটার কে রান করানোর জন্য। এরকম করে আপনার শুধু window software গুলোকে রেখে বাকি সফটওয়্যারগুলোকে ডিজেবল করে দিতে পারেন।

ট্রিক্স-২ : কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় ; কম্পিউটারের ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট অফ রাখা

ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের কারণে কম্পিউটারের উইন্ডোজ ভিউটা অনেক সুন্দর হয়। কিন্তু যাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার অনেক পুরোনো হয়ে গেছে বা যাদের কম্পিউটারের স্পীড কমে গেছে তারা এই ভিজুয়্যাল ইফেক্ট অফ রাখলে স্লো ল্যাপটপ বা windows 10 ফাস্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। 

চলুন আপনাদেরকে দেখায় কিভাবে কম্পিউটারের ভিজুয়াল ইফেক্ট অফ রাখবেন। প্রথমে চলে যাবেন start মেনুতে। তারপর সেখান থেকে settings  ক্লিক করবেন। সার্চবারে লিখবেন advanced system setting । 

তারপর কি-বোর্ডের এন্টার প্রেস করলে নতুন একটা উইন্ডোজ দেখতে পাবেন। তারপর সেখান থেকে প্রথমে performance আন্ডারে setting  ক্লিক করবেন। তারপর নিচের চিত্রের মত একটি উইন্ডোজ ওপেন হবে।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

সেখানে সবগুলো ভিজুয়াল ইফেক্টে তীর চিহ্ন দেওয়া থাকবে। আপনাকে show thumbnails instead of icon এবং smooth edges of screen fonts অপশন ছাড়া সবগুলো একে একে ক্লিক করে অফ করে দিতে হবে। 

তারপর নিচের apply বাটনে ক্লিক করে ok বাটনে ক্লিক করতে হবে। এই স্টেপটি ফলো করলে আপনার কম্পিউটার অবশ্যই ফাস্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ আপনার কম্পিউটারের সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন এনিমেশন এবং আরো অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালু থাকে। 

যেগুলোর তেমন একটা প্রয়োজন নেই। তাছাড়া যে দুইটা অপশন অন রাখতে বলা হয়েছে সেগুলো অন রাখলেও আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আগের মত থাকবে কিন্তু পারফরম্যান্স অনেক ফাস্ট হবে।

Also read 

ট্রিক্স-৩ : কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় ; অটোমেটিক উইন্ডোজ আপডেট অফ রাখা

প্রথমে কিবোর্ডের উইন্ডোজ key চেপে ধরে রেখে R key প্রেস করবেন। উইন্ডোজ key দেখতে আপনার কম্পিউটারের বাম দিকের কোনার স্টার্ট অপশনের মতোই। তারপর স্টার্ট অপশনের পাশে ছোট একটি উইন্ডোজ ওপেন হবে আপনার সামনে। সেখানে লিখতে হবে services.msc। 

তারপর ok প্রেস করবেন। আপনার সামনে নতুন একটা উইন্ডো ওপেন হবে। তারপর একদম নিচের দিকে গিয়ে নিচের ইমেজের মতো ব্লু কালার দিয়ে ইন্ডিকেট করা windows update অপশনটিতে গিয়ে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে properties অপশনে যাবেন।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন  

properties অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে নিচের ইমেজটির মতো নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখানে status type manual সিলেক্ট করা থাকবে এবং সেখানে ক্লিক করে ইমেজের মত ডিজেবল করে দিয়ে apply বাটনে ক্লিক করে ok বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার অটো উইন্ডোজ আপডেট disable হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

এই ট্রিক্সটি খুবই কার্যকরী একটি ট্রিক্স। উইন্ডোজ খুব বেশি মেগাবাইটের একটি ফাইল। এর অটো আপডেট অন রাখলে ইন্টারনেট কানেকশন বা ওয়াইফাই কানেকশন হওয়ার সাথে সাথেই ব্যাকগ্রাউন্ডে এর আপডেট শুরু হয় যার ফলে স্টোরেজে এর একটি প্রভাব পড়ে। 

অথবা এটি আপডেট হতে অনেক সময় প্রয়োজন সেই সময় যদি ল্যাপটপে আপনি অন্য কাজ করতে চান তাহলে মারাত্মকভাবে আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ স্লো পারফর্ম করবে।

ট্রিকস-৪ : কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় ; স্টোরেজ অপশন অফ রাখা

নরমালি setting এ গিয়ে system settings এ  ক্লিক করতে হবে। তারপর বামে নিচের দিকে একটি অপশন রয়েছে storage নামে। সেখানে ক্লিক করে উপরের দিকে স্টোরেজ অপশনটি অন থাকলে অফ করে দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

ট্রিকস-৫: কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় ; টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করা

এই স্টেপটি অপেক্ষাকৃত সহজ কিন্তু অধিকাংশ ল্যাপটপ ইউজারই সেটা করে না। সারাদিন কম্পিউটারে অনেক কাজ করতে হয়। তাই কম্পিউটার তার নিজের প্রয়োজনে অনেকগুলো টেম্পোরারি ফাইল ক্রিয়েট করে নেয়। 

এভাবে টেম্পোরারি ফাইল জমা হতে হতে এক সময় দেখা যায় আমাদের পিসি মারাত্মকভাবে স্লো করে বা হ্যাং করে। তাই কম্পিউটারের স্লো পারফরম্যান্সের অধিকাংশের জন্য দায়ী অতিরিক্ত টেম্পোরারি ফাইল জমা হওয়া। 

কারণ এসব আপনার কম্পিউটারের স্টোরেজের অনেক জায়গা দখল করে নেয়। তাই প্রত্যেক দিন টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট না করলেও এক সপ্তাহ পর পর অবশ্যই টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট করা উচিত। আপনার স্লো কম্পিউটার ফাস্ট হবে এতে অনেক গুনে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে টেম্পোরারি ফাইল গুলো ডিলিট করবেন।

প্রথমে উইন্ডোজ key এবং r key চেপে ধরবেন অথবা স্টার্ট অপশনে গিয়ে সার্চ করবেন run দিয়ে। তারপর আপনার সামনে ছোট একটা উইন্ডো ওপেন হবে। সেখানে গিয়ে লিখতে হবে temp

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

তারপর কীবোর্ড থেকে এন্টার প্রেস করলে আপনার সামনে জমা হওয়া টেম্পোরারি ফাইলের লিস্ট দেখাবে। তারপর কীবোর্ডের ctrl এবং A প্রেস করলে সবগুলো সিলেক্ট হয়ে যাবে এবং কীবোর্ডের ডিলিট বাটনে প্রেস করবেন। এভাবে সব টেম্পোরারি ফাইল ডিলেট হয়ে যাবে।

Also read Redmi Note-11 বাজেটের সেরা ফোন হতে পারে আপনার জন্য 

দ্বিতীয় পদ্ধতি

এবার আপনাকে আগের বারের মত ওই স্টার্ট অপশনে গিয়ে সার্চ করতে হবে run এবং এই অ্যাপটাতে ক্লিক করলে আবারও ছোট একটি উইন্ডো ওপেন হবে। তারপর সেখানে গিয়ে লিখতে হবে %temp%

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

লিখে এন্টার প্রেস করলে আপনার সামনে জমা হওয়া টেম্পোরারি ফাইলের আরো একটি লিস্ট দেখাবে তারপর কীবোর্ডের ctrl এবং A প্রেস করে সবগুলো সিলেক্ট করে delete বাটনে প্রেস করে ডিলেট করে দিতে হবে। 

যেগুলো ডিলেট হবে না সেগুলো নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। এভাবে সব টেম্পোরারি ফাইল ডিলেট করলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হয়ে যাবে সুপার ফাস্ট।

ট্রিকস-৬ : কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় ; নিয়মিত ডিস্ক ক্লিনআপ রাখা

কম্পিউটারকে ফাস্ট রাখার জন্য অবশ্যই আপনার ডিস্ক গুলোকে ক্লিনআপ রাখতে হবে। আমাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিস্ক যেমন c-drive এ অনেক ধরনের টেম্পোরারি ফাইলস যেমন ইন্টারনেট ক্যাশ ফাইলস, বিভিন্ন টেম্পোরারি ফাইলস ইত্যাদি জমা হয়ে হার্ডডিস্কের অনেক জায়গা দখল করে নেয়। 

অন্তত কম্পিউটারের c-drive থেকে 10 GB স্পেস ক্লিয়ার রাখা উচিত আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য। এবার চলুন আপনাদেরকে দেখাই কিভাবে ডিস্ক ক্লিনআপ করবেন।

প্রথমে This pc তে যাবেন। তারপর নিচের ছবির মত ডিস্কের উপর মাউসের রাইট বাটন প্রেস করবেন। তারপর সবার নিচে properties অপশনে যাবেন।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

properties অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

disc cleanup অপশনে ক্লিক করার পর নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। সেখান থেকে Files to delete অপশনের আন্ডারে সবগুলো অপশনে রাইট চিহ্ন দিতে হবে। তারপর ok বাটনে প্রেস করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ইমেজটি দেখতে ক্লিক করুন 

এভাবে আপনি আপনার ডিস্ক ক্লিন আপ করতে পারেন। একই ভাবে চাইলে আপনি অন্য লোকাল ডিস্ক গুলোও ক্লিন আপ করতে পারেন। নিশ্চিতভাবেই আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে ফাস্ট কাজ করবে।

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় ; কম্পিউটার ফাস্ট রাখার জন্য কিছু সাধারণ নির্দেশনা

আপনার চাওয়া মতো কম্পিউটারের পারফরম্যান্সের জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম আপনার মেনে চলা আবশ্যক। আপনারা যারা কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখার জন্য ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করেন, হতে পারে সেটা একটা ভাইরাস অথবা এটি কোন কাজই করবে না। 

শুধু শুধু আপনার RAM এর উপর চাপ বাড়াবে। তাই সত্যিকার অর্থে এন্টি ভাইরাস ব্যাবহার করতে চাইলে বাজার থেকে নতুন এন্টি ভাইরাস কিনে তারপর ব্যাবহার করবেন। এক সপ্তাহ পর পর টেম্পোরারি ফাইল ডিলেট করার অভ্যাস করতে হবে।

আরেকটি বদ অভ্যাস প্রায় সব ল্যাপটপ ইউজারেরই দেখা যায়। আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হয় প্রতিনিয়ত। হয়তো সেই নির্দিষ্ট কাজটি করে ফেলার পর ঐ সফটওয়্যার আর আমাদের প্রয়োজন হয় না। 

কিন্তু এই অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি আমরা ল্যাপটপে রেখে দিই। যার ফলে কম্পিউটারের স্টোরেজের অনেকখানি দখল করে বসে থাকে এই সফটওয়্যার বা অ্যাপসগুলো। তাই ল্যাপটপের পারফরম্যান্সের জন্য এই অ্যাপসগুলোকে আনইনস্টল করে দেওয়া উচিত। 

আনইনস্টল করার জন্য settings এ গিয়ে Apps এ ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর যে ইন্টারফেস আসবে সেখানে একটু নিচের দিকে স্ক্রল ডাউন করলে আপনার ল্যাপটপে থাকা সব অ্যাপসের একটি লিস্ট দেখাবে। 

তারপর যে অ্যাপটি আনইনস্টল করতে হবে তার উপর মাউসের লেফট বাটনে ক্লিক করে Uninstall বাটনের উপর ক্লিক করলে অ্যাপটি আনইনস্টল হয়ে যাবে। এভাবে আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে অনেক ফাস্ট করতে পারবেন।

'কম্পিউটার ফাস্ট করার উপায়' রিলেটেড ট্রিকসগুলো নিয়ে কোন সমস্যা হলে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাবেন

কম্পিউটার ফাস্ট রাখার কিছু প্রো-টিপস

সাধারণত আমরা অনেকেই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু বর্তমানের লেটেস্ট উইন্ডোজ ভার্সনগুলোতে যেমন উইন্ডোজ ১০ অথবা ১১ এর নিজস্ব বা বিল্ট ইন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার আছে যার নাম 'Windows security'। 

উইন্ডোজের এই বিল্ট ইন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে জানলে আর কোন থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার প্রয়োজন নেই এবং যেকোন ভাইরাসের বিরুদ্ধে ততটাই কার্যকর। খুব সম্ভবত ২০২০ সালের পর থেকে এই উইন্ডোজ সিকিউরিটি সফটওয়্যারটি মারাত্মকভাবে শক্তিশালী হয়ে এসেছে। 

শুধু আপনাকে কিছু সেটিংস এনাবল করতে হবে। সেটিংসগুলো নিচের গাইড অনুযায়ী গেলে করে ফেলতে পারবেন। তবে প্রথমেই আপনাকে উইন্ডোজ আপডেট না থাকলে আপডেট করে নিতে হবে। কারণ লেটেস্ট ভার্সন অনুযায়ী নতুন নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই সিকিউরিটি সফটওয়্যারটি আপডেট হবে।

স্টেপ-১ : থ্রেটস স্ক্যান করা

কম্পিউটারের কোনায় স্টার্ট মেনু বা উইন্ডোজ আইকনে ক্লিক করে সার্চ বারে 'windows security' লিখে সার্চ করবেন। উইন্ডোজ সিকিউরিটি নামের সফটওয়্যারটি চলে আসবে এবং সেখানে ক্লিক করবেন।

তারপর Security at a glance শিরোনামে একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে। সেখানে প্রায় সাত ধরনের সিকিউরিটি অপশন আছে। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রথম অপশনটি অর্থাৎ 'Virus & threat protection'। এটিতে ক্লিক করবেন।

এখানে উপরে 'Current threats' নামের একটি অপশন পাবেন। অপশনটিতে সবুজ কালারের টিক মার্ক দেওয়া থাকলে বুঝবেন আপনার আপাতত কোনো ভাইরাস থ্রেট বা হুমকি নেই। স্ক্যান কখন হয়েছিল কত সময় ধরে চলেছিল সেগুলোও দেখতে পাবেন সেখানে। 


এর সামান্য নিচে দেখবেন 'Quick scan' নামের অপশন আছে। এখানে ক্লিক করলে কম্পিউটার আপনার সব ফাইলের একটি কুইক স্ক্যান করে দিবে। কম্পিউটারের কোন কোন জায়গায় ভাইরাস থ্রেট থাকতে পারে তার একটি কুইক স্ক্যান করে দিবে এটি।

তবে আপনি যদি সময় নিয়ে আরো ডিপ স্ক্যান করতে চান তাহলে নিচের নীল কালারের 'scan options' অপশন আছে। এটায় ক্লিক করে আপনি 'Full scan', 'custom scan' ইত্যাদি অপশন পাবেন। ফুল স্ক্যানে ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে থাকা সকল ফাইলের স্ক্যানিং শুরু হবে। এটাতে প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লাগতে পারে।

তারপর আপনি চাইলে কম্পিউটারের স্পেসিফিক কোন কোন ফাইলটি স্ক্যান করতে চান তার জন্য 'Custom scan' এ ক্লিক করে নিচের 'scan now' অপশনে ক্লিক করবেন। কম্পিউটারের সকল‌ ফাইল আপনার সামনে ওপেন হবে, সেখান থেকে কোন একটি ফাইল সিলেক্ট করে 'select folder' বাটনে ক্লিক করলে ঐ নির্দিষ্ট ফাইল স্ক্যানিং শুরু হবে। ফাইল সাইজ ছোট হলে এক্ষেত্রে খুব কম সময় লাগতে পারে।

সবার নিচের অপশনটি হলো 'Microsoft Defender Offline Scan'।‌ এটি সিলেক্ট করলে কম্পিউটার একটা restart নিবে। রিস্টার্ট নেওয়ার পর এবং উইন্ডোজ রান হওয়ার আগেই স্ক্যান করবে। এটা শুধু সেসব ভাইরাসের জন্য যেগুলোকে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার স্ক্যান করতে পারে না, ওই টাইপের ভাইরাসের জন্যই এটি।

স্টেপ - ২ : ভাইরাস এন্ড থ্রেট প্রোটেকশন সেটিংস এনাবল করা

এবার আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটিংসটিতে যেতে হবে। তা হলো 'Virus and Threat protection settings'। এর আন্ডারে 'Manage settings' এ ক্লিক করবেন। তারপর নিচের মতো একটি ইন্টারফেস শো করবে।


এখানে অনেকেই আছেন 'Real-time protection' অফ করে রাখে। কিন্তু এটা আপনাকে অবশ্যই অন করে রাখতে হবে। রিয়েল টাইম প্রোটেকশন অর্থ হলো আপনার কম্পিউটার কন্টিনিয়াসলি প্রোটেকটেড আছে যেকোন ম্যালিসিয়াস ফাইলের বিরুদ্ধে।

তারপর আর বাকি যেসব অপশন আছে সবকিছুই অন করে রাখবেন এখান থেকে।

একটু ব্যাক দিয়ে 'Virus and threat protection update' থেকে 'click for updates' এ ক্লিক করবেন। সেখানে কোন আপডেট থাকলে তা 'click to update' এ ক্লিক করে আপডেট করে নিবেন নিচের ইমেজের মতো।


পরিশেষে আপনি যদি স্টেপ বাই স্টেপ এই কাজগুলো করেন আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ফাস্ট হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। একই সাথে কম্পিউটার শতভাগ প্রোটেকটেড থাকবে ভাইরাস থেকে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url