পারফেক্ট স্বাদের রং-চা যেভাবে বানাবেন 🍵। রং-চা এর শারীরিক উপকারিতা
সবাই কম বেশি রং-চা পান করে থাকবেন। কিন্তু আমার মনে হয় আসল রং-চা এর স্বাদ খুব কম মানুষই পেয়েছেন। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের ঐতিহ্যের প্রতীক এবং আভিজাত্যের পরিচায়ক এক কাপ রং-চা নিয়ে কিভাবে পারফেক্টলি বানাবেন। তাই আজকে সেরা স্বাদের রং চা বানানোর রেসিপি নিয়ে এই আর্টিকেল। আমি নিজে কিভাবে রং-চা বানিয়েছি এবং রং-চা বানানোর নিয়ম আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
Step-1
প্রথমে একটি হাড়িতে কিছু পানি নিবেন। অবশ্যই বৃষ্টির পানি হলে ভালো হয়। কিন্তু আপনারা চাইলে যেকোন পানি নিতে পারেন। আমি চার কাপ হয় মত নিয়েছি।
Step-2
ঐ পানির মধ্যে দুটো লং, চারটি এলাচ, তারপর কয়েকটি আদা কুচি। আমি এক ইঞ্চি আদাকে কুচি কুচি করে নিয়েছি। এখানে আদাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আদা গলা ব্যথার জন্য অনেক ফলদায়ক।
Step-3
তারপর সামান্য পরিমাণ লবণ এবং দারুচিনি দুই পিচ। একটা পুরো ফ্রেশ তেজপাতা ভেঙে দিয়েছি। পরিমান মত আমি চিনি এড করেছি। চিনিটা অবশ্যই যার যার রুচির ওপর নির্ভর। এতটুকু পর্যন্ত আসার পর একটি ব্যাপার খেয়াল করবেন। আমি কিন্তু এখনো আগুন জ্বালাই নি। তারপর এতক্ষন পর্যন্ত যা বলেছি সবকিছু দেওয়ার পর একটু নেড়ে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ভালো করে ফুটাবেন।
Step-4
ফুটতে শুরু করলে এবার চা-পাতা এড করবেন। রং-চা এ অবশ্যই চা-পাতা কম হবে। চার কাপ চা এর জন্য আমি দুই চা-চামচ চা-পাতা যোগ করেছি। এবার কয়েক মিনিট কালার না আসা পর্যন্ত চুলোয় রাখবেন।
Step-5
এবার চা রান্না শেষ। আমি চারটি কাপ নিয়েছি। আপনাদের একটির কাহিনীই বলব। প্রথমে কিছু কালো জিরা দিয়েছি। রং-চা এর সাথে কালো জিরা খাওয়ার মজাই আলাদা। এবার আমি ফুটানো পানি ঢালতে শুরু করেছি। এবার আসি রং-চা এর আসল স্বাদের জায়গায়। তা হলো লেবুর রস যোগ করা। আপনি ছোট একটি লেবুর পিসের রস চায়ে এড করতে পারেন। আর তখন খাওয়ার সময় নিজেকে চৌধুরী সাহেবের মতো লাগবে (মজা করলাম)।
এবার আপনাদের সাথে একটা সিক্রেট শেয়ার করি। তা হলো, আপনার কাপ যদি কাঁচের হয় তাহলে খুব গরম চা হলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আগে থেকেই কাপে একটি চামচ দিয়ে রাখবেন। ব্যাস..... এবার উপভোগ করুন আপনার স্বাদের চা।
আর আমার পক্ষ থেকে একটি রিকোয়েস্ট চা কেমন হয়েছে একটু কমেন্টে জানাবেন। আর রেসিপিটা নিয়ে কোন সমস্যা হলে বলবেন। কারণ আমি ছেলে মানুষ, প্রথমবারের মতো কোন রেসিপি এত সুন্দর করে বানালাম। এবার আসা যাক রং-চা এর উপকারিতায়।
রং-চা এর উপকারিতা
রং-চা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। একটি বিষয় খেয়াল করবেন, যখন আপনি খুব বেশি টায়ার্ড তখন এক কাপ রং-চা পান করলে দুধ চা এর চেয়ে আপনি অনেক বেশি সতেজতা অনুভব করবেন। দুধ চায়ের ব্যবহৃত দুধে আছে প্রোটিন এবং অন্য উপাদানে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেলস। ফলে দুইটা উপাদানই একটি অপরটির সাথে বিক্রিয়া করে একে অপরের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দেয়। পরিশেষে শুধু টেস্টটাই আপনি পান, আর কিছু না। উপরন্তু এখানে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার করা হয়।
ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের ব্লাড সুগার কন্ট্রোলের জন্য রং-চা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুধ চায়ের মধ্যে যে দুধটি আপনি দিবেন সেখানে অবশ্যই ফ্যাট আছে। অটোমেটিক্যালি আপনার কোন উপকার হবেই না বরং কিছু ফ্যাট আপনার শরীরে স্টোরড হবে। অন্তত দিনে দুইবার রং-চা আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই নিতে পারেন। তাছাড়া রং-চা শরীরের ওজন কমাতেও অনেক সাহায্য করে কারণ এখানে লেবুর রস ব্যবহার করা হয়।
আমরা সাধারণত শরীরের জন্য যেসব পুষ্টি উপাদান দরকার তা প্রতিদিনের খাবারের মধ্যেই পেয়ে থাকি। তন্মধ্যে চা শুধু ব্যতিক্রম। কারণ এটি আমরা খাদ্য তালিকার বাইরে গিয়েই পান করি। সেখান থেকেই যদি আমরা শরীরের প্রয়োজনীয় শারীরিক উপাদান নিতে পারি তাহলে আর কথাই নেই।
আপনি চাইলে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে সেরা স্বাদের গরুর মাংসের কালা ভুনা করে খেতে পারেন-
আর তা একমাত্র আমরা পারি রং চায়ের মাধ্যমে। তাছাড়া আপনি যদি ওয়েট লস প্ল্যানে থাকেন তাহলে দুধ চায়ে ব্যবহৃত চিনি এবং প্রোটিন অর্থাৎ দুধ আপনার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করবে।
সেরা স্বাদের আমের আচার করে খেতে চাইলে নিচের আর্টিকেলটি আপনার পড়া প্রয়োজন-
আরো কিছু আর্টিকেল -
dhonnobad vai
ধন্যবাদ ভাই, অনেক উপকৃত হলাম। সময় করে আপনার বাসায় চলে আসবো আপনার হাতে বানানো রং চা খেতে।
ok.....bro...ami ready thakbo
উপকৃত হলাম
ধন্যবাদ আপনাকে