নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ অধ্যায়-৭ HSC উদ্ভিদবিজ্ঞান
নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ চ্যাপ্টারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল এডমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশনের জন্য। প্রত্যেক বছর মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এখান থেকে প্রায় তিন থেকে চারটি প্রশ্ন থাকে। তবে এই চ্যাপ্টারটির মধ্য থেকে মনে রাখার বিষয় হলো এর নগ্নবীজী এবং আবৃতবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণগুলো। তবে এখানে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো আলোচনা করা হয়েছে। এখানে লাল চিহ্ন দিয়ে কালার করে দেওয়া শব্দগুলো দ্বারা বুঝানো হয়েছে এসব শব্দগুলোর জন্যই ঐ লাইনটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বইয়ের অনেক বড় চ্যাপ্টারকে সংক্ষিপ্তাকারে বিভিন্ন মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন টেস্টে প্রশ্ন হয়েছে এমন টপিকগুলো বাছাই করে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। কোন অংশই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
নগ্নবীজী উদ্ভিদ বা Gymnosperms
নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য হলো এই উদ্ভিদে বীজ হবে কিন্তু ফল হবে না। যার ফলে এসব উদ্ভিদের বীজ বাইরে থেকে দেখা যায়। উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক থিওফ্রাস্টাস তাঁর Enquiry into Plants নামক গ্রন্থে সর্বপ্রথম Gymnosperm শব্দটি ব্যবহার করেন। নগ্নবীজী উদ্ভিদের ফুলে গর্ভাশয় থাকে না তাই ফল হয় না এবং বীজ নগ্ন অবস্থায় জন্মে তাই এরা নগ্নবীজী উদ্ভিদ।
বাংলাদেশে প্রায় ৪০০০ প্রজাতির আবৃতবীজী উদ্ভিদ থাকলেও মাত্র পাঁচ প্রজাতির নগ্নবীজী উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এসব উদ্ভিদের মধ্যে Cycas pectinata চট্রগ্রামের বাড়িয়াডালা পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায়। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, আজ থেকে ৩০ কোটি বছর পূর্বে প্যালিওজোয়িক মহাযুগের ডেভোনিয়ান যুগে নগ্নবীজী উদ্ভিদের উৎপত্তি ঘটেছিল। Ginkgo biloba নগ্নবীজী উদ্ভিদ জীবন্ত ফসিল। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বৃক্ষ হলো ব্রিসল কোন পাইন। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বৃক্ষ Sequoia sempervirens। নগ্নবীজী উদ্ভিদের মধ্যে Gnetophyta গোত্রের উদ্ভিদের শুক্রানু ফ্ল্যাজেলাবিহীন। নগ্নবীজী উদ্ভিদের মধ্যে Ephedra উদ্ভিদের দ্বিনিষেক দেখা যায়। Ephedra থেকে শ্বাসকষ্টের ওষুধ ইফেড্রিন পাওয়া যায়। পাতা ঝরে পড়লেও নগ্নবীজী উদ্ভিদের কাণ্ডে বিশেষ চিহ্ন থেকে যাওয়াই হলো Leaf scar।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য ( ১০০% )
- উদ্ভিদ বহুবর্ষজীবী, চির সবুজ, স্পোরোফাইট হেটারোস্পোরাস ( অর্থাৎ পুং ও স্ত্রী দুই ধরনের স্পোরই তৈরি করে )।
- রেণুপত্র তথা স্পোরোফিলগুলো ঘনভাবে সন্নিবেশিত হয়ে স্ট্রোবিলাস বা কোন তৈরি করে
- ডিম্বক মেগাস্পোরোফিলের কিনারে নগ্ন অবস্থায় থাকে।
বৈশিষ্ট্যগুলো ছবি আকারে দেওয়া আছে। নগ্নবীজী উদ্ভিদের মধ্যে সাইকাস অন্যতম। তাই এই চ্যাপ্টারটিতে সাইকাসের বৈশিষ্ট্য দিয়েই নগ্নবীজী উদ্ভিদকে বুঝানো হয়েছে।
সাইকাসের ( Cycas ) সনাক্তকারীর বৈশিষ্ট্য
- সাইকাসের কচি পাতা ভার্নেশন সারসিনেট অর্থাৎ কুন্ডলিত অবস্থায় থাকে।
- পাতায় ট্রান্সফিউশন টিস্যু বিদ্যামান।
- সাইকাসের যৌন জনন হেটারোস্পোরিক।
- সাইকাসের শুক্রানু উদ্ভিদজগতে সর্ববৃহৎ, লাটিমের মতো সচল এবং বহু ফ্ল্যাজেলাবিশিষ্ট ( ফ্ল্যাজেলা হল শুক্রানুর চলন অঙ্গ যা শুক্রাণুর গায়ের সাথে লেগে থাকে )।
সাইকাসের গঠন বৈশিষ্ট্য
- সাইকাস উদ্ভিদটি হলো স্পোরোফাইট অর্থাৎ স্পোর বা রেনু উৎপাদনের মাধ্যমে জনন সম্পন্ন করে।
- এর পাতা পক্ষল যৌগিক। পক্ষল যৌগিক অর্থ হলো একটি পত্রদন্ডের দুপাশে পাতাগুলো বিন্যস্ত থাকে। যেমন, তেঁতুলের পাতা।
- সাইকাস উদ্ভিদের যৌগ পত্র বা পর্ণপত্র এবং এক প্রকার বাদামি বর্ণের রোমশ শল্কপত্র আছে।
- সাইকাসের পাতা পাম উদ্ভিদ এবং ফার্নের পাতার সাথে কিছুটা মিলসম্পন্ন বলে সাইকাসকে কে পামফার্নও বলা হয়।
সাইকাসের মূল
প্রাথমিক পর্যায়ে সাইকাসের মূল থাকলেও সেই প্রধান মূল নষ্ট হয়ে Nostoc, Anabaena নামক সায়ানো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় যার ফলে মূল গুলো সামুদ্রিক প্রবল বা কোরালের মতো দেখায়। তাই সাইকাসের মূল হলো কোরালয়েড মূল। কোরালয়েড মূলের অন্তর্গঠনে মধ্যকর্টেক্স এ Nostoc, Anabaena অবস্থান করে বিধায় সে অংশকে শৈবাল স্তর বলে।
সাইকাস হলো একটি জীবন্ত জীবাশ্ম বা লিভিং ফসিল। সাইকাস উদ্ভিদের সাথে ফার্নের মিলসম্পন্ন বৈশিষ্ট্য হলো উভয় উদ্ভিদের পাতা পক্ষল যৌগিক, উভয়ের কচিপাতা কুণ্ডলীত অবস্থায় থাকে, শুক্রানু বহু ফ্ল্যাজেলাবিশিষ্ট, উভয়ের জীবনচক্রেই অসম আকৃতির জনুক্রম বিদ্যমান।
সাইকাসের জনন
সাইকাস উদ্ভিদের কান্ডে এক প্রকার মুকুল সৃষ্টি হয় এবং মুকুলটি দিয়েই সাইকাসের অযৌন জনন সম্পন্ন হয়।
সাইকাসের যৌন জনন পদ্ধতি একটু জটিল। সাইকাস উদ্ভিদের শীর্ষে রেনুপত্র গুলো অর্থাৎ পাতাগুলো একত্রিত হয়ে প্রথমে পুংস্ট্রোবিলাস তৈরি করে ( ছবিতে দেখে নিবেন )।পুংস্ট্রোবিলাসের একদম উপরের মাথাকে অ্যাপোফাইসিস বলে। পুংরেণুপত্রের অর্থাৎ পাতার পৃষ্ঠে অনেক স্পোরাঞ্জিয়া তৈরি হয় ( স্পোরাঞ্জিয়া হলো যেখানে স্পোর থাকে )। দুই থেকে পাঁচটি স্পোরাঞ্জিয়া একত্রে অবস্থান করলে তাকে সোরাস বলে। স্পোরাঞ্জিয়ামের ভিতর স্পোর মায়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে হ্যাপ্লয়েড পুংরেণু তৈরি করে এবং ঐ পুংরেণু থেকেই শুক্রানু তৈরি হয়।
এবার হলো ডিম্বাণু তৈরির পালা। স্ত্রী সাইকাস উদ্ভিদের মাথায় প্রথমে স্ত্রীরেণুপত্র তৈরি হয়। স্ত্রী রেণুপত্রের কিনারে ডিম্বক থাকে। সাইকাসের স্ত্রীরেণুপত্রকে অনেক সময় স্বর্পমনি হিসেবে বিক্রি করতে দেখা যায়। ডিম্বক থেকে স্ত্রীরেণুমাতৃকোষ এবং স্ত্রীরেণুমাতৃকোষ থেকে ডিম্বাণু তৈরি হয় মায়োসিস প্রক্রিয়ায়। অবশ্য এর আগে আর্কিগোনিয়াম সৃষ্টি হয় এবং আর্কিগোনিয়ামের ভিতরে তৈরি হয় ডিম্বাণু। আর্কিগোনিয়াম সৃষ্টি সাইকাসের একটি আদি বৈশিষ্ট্য। তৈরি হয়ে গেল ডিম্বাণু। এবার নিষেক হওয়ার পালা।
সাইকাসের নিষেক
বাতাসের মাধ্যমে আগে পুরুষ সাইকাস উদ্ভিদে তৈরি হওয়া পুংরেণু ডিম্বাণুতে এসে প্রোথিত হয়। তারপর এখানে পোলেন টিউব সৃষ্টির মাধ্যমে পুংরেণু শুক্রাণু তৈরি করে ডিম্বাণুর সাথে মিলন ঘটিয়ে জাইগোট উৎপন্ন করে।
সাইকাসের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
শোভা বর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে সাইকাস ব্যবহৃত হয়। Cycas circinalis থেকে এরারোট বা বার্লি প্রস্তুত করা হয়। পাকস্থলীর পীড়া ও চর্ম রোগের ওষুধ হিসেবে Cycas circinalis এর পাতা ব্যবহার করা হয়। Cycas revoluta এর বীজ খাদ্য হিসেবে খাওয়া হয়। Cycas pectinata এর কচিপাতা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
আবৃতবীজী উদ্ভিদ বা Angiosperms
আবৃতবীজী উদ্ভিদের আরেক নাম পুষ্পক উদ্ভিদ। প্রায় ১৩ কোটি বছর পূর্বে এর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। আবৃতবীজী উদ্ভিদের মধ্যে Wolffia (০.১ মিমি ) সবচেয়ে ছোট। আবৃতবীজী উদ্ভিদের মধ্যে Eucalyptus marginata প্রায় ৫০০ ফুট উঁচু হতে পারে।
আবৃতবীজী উদ্ভিদের সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
- আবৃতবীজী উদ্ভিদের গর্ভকেশর ; গর্ভদণ্ড, গর্ভমুন্ড এবং গর্ভাশয় এই তিন অংশে বিভক্ত।
- এদের শুক্রানু ফ্ল্যাজেলাবিহীন।
- এদের দ্বি-নিষেক ঘটে এবং বীজের শস্য ট্রিপ্লয়েড (3n)।
- এদের কোন প্রকার আর্কগোনিয়া সৃষ্টি হয় না। আর্কিগোনিয়া সৃষ্টি না হওয়া হলো উন্নত বৈশিষ্ট্য।
- এদের জাইলেম টিস্যুতে প্রকৃত ভেসেল কোষ এবং ফ্লোয়েম টিস্যুতে সঙ্গী কোষ থাকে।
- বীজে একটি বা দুটি বীজপত্র থাকে।
- শুক্রানু নিশ্চল।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের পরাগায়নের মাধ্যম হলো বায়ু। কিন্তু আবৃত বীজী উদ্ভিদের পরাগায়নের মাধ্যম বায়ু , পানি এবং প্রাণী।
আবৃতবীজী উদ্ভিদের প্রকার
আবৃতবীজী উদ্ভিদ একবীজপত্রী এবং দ্বিবীজপত্রী এই দুই ধরনের। বিরুৎ হিসেবে আছে ধান , গম ও দূর্বাঘাস। জবা ও গোলাপ হলো গুল্ম। কালকাসুন্দা ও দাদমর্দন উপগুল্ম। আবার মূলের ক্ষেত্রে প্রধান মূল হিসেবে রুপান্তরিত হয়ে বড় হয় যেমন মূলা , গাজর , বিট ইত্যাদি ( দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে )। অস্থানিক মূল হিসেবে থাকে কেয়া , বট , অশ্বথ ইত্যাদি। অর্কিডের মূল পরাশ্রয়ী মূল।
যেসব কান্ড ভূনিম্নস্থভাবে মাটির নিচে অনুভূমিকভাবে বর্ধিত হয় তারা রাইজোম। রাইজোম হলো ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কান্ড। যেমন আদা , হলুদ ইত্যাদি। মিষ্টি আলু টিউবারের উদাহরণ। পেঁয়াজ , রসুন হলো বাল্ব ( ভূ-নিম্নস্থ অতি সংক্ষিপ্ত রূপান্তরিত কান্ড )।
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো তাদের পাতার জালিকা শিরাবিন্যাস। পাতার সমান্তরাল শিরাবিন্যাস একবীজপত্রী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।
পুষ্পমঞ্জরী নিয়ে শ্রেণিবিন্যাস
সরিষার পুষ্পমঞ্জরী রেসিম বা অনিয়ত। রজনীগন্ধার পুষ্পমঞ্জরী স্পাইক। ধান , গম বা যেকোন ঘাসের পুষ্পমঞ্জরী স্পাইকলেট। গাঁদা , সূর্যমুখী ইত্যাদির পুষ্পমঞ্জরী ক্যাপিচুলাম।
এস্টিভেশন বা পুষ্পপত্রবিন্যাস
গন্ধরাজের বৃতির এস্টিভেশন ওপেন বা মুক্ত। জবা ফুলের বৃতির ও বাবলা ফুলের এস্টিভেশন ভালভেট বা প্রান্তস্পর্শী। জবা ফুলের দলমন্ডলের এস্টিভেশন টুইস্টেড বা পাকানো। কৃষ্ণচূড়া ও কালকাসুন্দার এস্টিভেশন ইমব্রিকেট। পেয়ারা ও সরিষার এস্টিভেশন কুইকানসিয়াল।
পুষ্পের প্রকারভেদ
ফুলের সবচেয়ে ভেতরের স্তবক হলো স্ত্রীস্তবক। স্ত্রীস্তবকের প্রতিটি সদস্যকে বলা হয় কার্পেল। জবা উভলিঙ্গ ও সম্পূর্ণ পুষ্প এবং লাউ একলিঙ্গ। কুমড়া অসম্পূর্ণ পুষ্প। সরিষা ও জবা বহুপ্রতিসম পুষ্প। শিম ও অপরাজিতা একপ্রতিসম। অন্যদিকে কলাবতী অপ্রতিসম।
ফলের প্রকারভেদ ( Too much important )
আম , জাম , লিচু হল প্রকৃত ফল। আপেল অপ্রকৃত ফল কারণ গর্ভাশয় ছাড়া অন্য অংশ হতে উৎপন্ন হয়। আম সরল ফল কারণ একটি মাত্র ফুল হতে উৎপন্ন হয়। আতা গুচ্ছিত ফল এবং কাঁঠাল যৌগিক ফল। ধুতুরা , ঢেড়স এবং পাট হল ক্যাপসিউল। ধান ক্যারিঅপসিস। সরিষা সিলিকুয়া। কলা , টমেটো বেরিজাতীয়। ধনে সাইজোকার্প এবং কাঁঠাল ও আনারস সরোসিস।
একবীজপত্র উদ্ভিদের গোত্র পরিচিতি
একবীজপত্রী Poaceae গোত্রের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
- পুষ্পবিন্যাস স্পাইকলেট।
- পরাগধানী রেখাকার ও সর্বমুখ।
- গর্ভমুন্ড পালকের ন্যায়।
- গর্ভাশয় এক প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
- অমরাবিন্যাস মূলীয়।
- ফল ক্যারিঅপসিস। একবীজপত্রী উদ্ভিদের পুষ্প ট্রাইমেরাস প্রকৃতির।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব : Zea mays L. নামক ভূট্টা থেকে কর্ণফ্লেক্স তৈরি করা হয়। রক্তপাত বন্ধ ও ক্ষত নিরাময়ে দুর্বাঘাস ব্যবহার করা হয়। আখ (Saccarum officinarum) থেকে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় ভিনেগার , অ্যালকোহল তৈরি করা হয়। পৃথিবীর প্রায় ৬০% মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত এবং রুটি।
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের গোত্র পরিচিতি
শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
- বীজে বীজপত্র দুইটি
- পাতার শিরাবিন্যাস জালিকাকার
- মূল প্রধান মূল
- পুষ্প টেট্রামেরাস বা পেন্টামেরাস। অর্থাৎ পুষ্পে চারটি পুষ্পপত্র বা পাঁচটি পুষ্পপত্র আছে।
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত Malvaceae গোত্রের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
- দলমন্ডল টুইস্টেড এবং পুংকেশর একগুচ্ছক।
- পরাগধানী এক প্রকোষ্ঠীয় ও বৃক্কাকার।
- পরাগরেণু বৃহৎ এবং কণ্টকিত।
- অমরাবিন্যাস অক্ষীয়। Malvaceae গোত্রের প্রধান উদ্ভিদ জবা।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব : জবা ফুলের রস মাথায় লাগালে মাথা ঠান্ডা থাকে। জবা ফুল রক্ত আমাশয় ও অর্শ রোগের ভালো ওষুধ। বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে ঢেঁড়স খুব ভালো ফল দেয়।
উপসংহারে এইটুকু বলা যায় এখন বাকি থাকল শুধু চ্যাপ্টারটির উপর থেকে MCQ প্র্যাকটিস। এর জন্য বইয়ের MCQ গুলি প্র্যাকটিস করা যেতে পারে বা নিচের লিংকে ক্লিক করতে পারেন।
নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী MCQ