ঘরে বসে যেভাবে অনলাইনে জিডি করবেন। অনলাইন জিডি করার নিয়ম [Updated]

যুগটা আধুনিক হলেও এর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবনে হুমকিও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায়ই বিভিন্ন কারণে আমাদের পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়। থানায় বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। এর মধ্যে অনেকেই হয়রানির শিকার হন জিডি বা জেনারেল ডাইরি করতে গিয়ে। কিন্তু অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো আপনি এখন থেকে সম্পূর্ণ ঘরে বসেই আপনার এন্ড্রয়েড ফোন থেকে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন। আজকে আপনাদের অনলাইনে জিডি করার নিয়ম সম্পর্কে জানানো হবে। 

অনলাইনে জিডি করার নিয়ম

আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়ের একটি ক্লিয়ার ধারণা পাবেন আপনারা। তাই ধৈর্য্য নিয়ে পড়তে থাকুন।

ধাপ - ১ : Online GD অ্যাপস ডাউনলোড 

প্রথমত আপনাদেরকে জিডি করার বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল অনলাইন জিডি অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এটি করার জন্য আপনার ফোনের 'প্লে স্টোর' এ যাবেন। সেখানে Online GD লিখে সার্চ দিবেন। তারপর নিচের ইমেজের মতো যে অ্যাপসটি আসবে তা ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিবেন।

Online GD App for download

ধাপ - ২ : Online GD অ্যাপসে নিবন্ধন

এখন ইনস্টল করা Online GD অ্যাপসটি ওপেন করবেন। ওপেন করার পর যা যা পারমিশন চায় সব Allow করে দিবেন। তারপর নতুন একটি স্ক্রিন ওপেন হবে যেখানে নিচের দিকে দুটি অপশন দেওয়া থাকবে। একটি হলো 'নিবন্ধন' এবং অন্যটি 'প্রবেশ করুন'।

আপনাকে যেহেতু প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে তাই 'নিবন্ধন' বাটনে ক্লিক করবেন।

ধাপ - ৩ : Online GD এর আরেকটি অ্যাপ ইনস্টল করা

'নিবন্ধন' বাটনে ক্লিক করার পর দেখবেন আপনাকে আবারো অনলাইন জিডির আরেকটি অ্যাপের 'প্লে স্টোর' লিঙ্কে নিয়ে আসছে। সেখান থেকে ঐ অ্যাপ্লিকেশনটি আপনাকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। 

আসলে অনলাইন জিডির দুইটি অ্যাপ আছে। একটির মাধ্যমে আপনি জিডি করবেন এবং অন্যটির মাধ্যমে নিবন্ধন।

ধাপ - ৩ NID দিয়ে নিবন্ধন 

উক্ত ইনস্টল করা অ্যাপসটি ওপেন করুন। ওপেন করার পর স্ক্রিনের নিচের দিকে 'নিবন্ধন' নামের একটি বাটন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করবেন। 

তারপর নিচের ইমেজের মতো একটি ইন্টারফেস শো করবে যেখানে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র তথা NID নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ NID অনুসারে দিতে হবে।


এসব দেওয়া হয়ে গেলে নিচের 'পরিচয়পত্র যাচাই' বাটনে ক্লিক করবেন। NID নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ঠিকঠাকভাবে দিলে দেখবেন আপনার ফুল NID তথা পিতার নাম, মাতার নাম সহ চলে আসবে।

তারপর 'তথ্য সঠিক হলে এখানে ক্লিক করুন' অপশনটিতে ক্লিক করবেন।

ধাপ - ৪ : অনলাইন জিডি একাউন্ট তৈরি করা

ক্লিক করার পর একটি পারমিশন পপআপ আসবে, আপনি Allow করে দিবেন। তারপর দেখবেন আপনার ফ্রন্ট ক্যামেরা অন হয়ে গিয়েছে। এবার যার NID Card এর নাম্বার দিয়েছেন তার ছবি তুলে নিবেন। আপনার হলে আপনার।

ছবি তোলার পর দেখতে পাবেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তোলা ছবি এবং লাইভ যে ছবিটি তুলেছেন তা পাশাপাশি চলে আসবে।

ইমেজটিতে আমি প্রাইভেসির স্বার্থে ছবি এবং মোবাইল নাম্বার ব্লার করে দিয়েছি
তারপর এর নিচের বক্সটিতে আপনার ১১ ডিজিটের মোবাইল নাম্বারটি দিবেন। অবশ্যই সচল মোবাইল নাম্বার দিবেন। কারণ এখানেই পরবর্তীতে OTP সহ বিভিন্ন কোড আসবে।

তার নিচের দুই ঘর হচ্ছে পাসওয়ার্ডের। আপনি দেখবেন এখানে আপনাকে দুইবার পাসওয়ার্ড দিতে বলা হবে। প্রথম ঘরে যে পাসওয়ার্ডটি আপনি দিবেন, দ্বিতীয় ঘরে ঐটিই আবার রি-টাইপ করবেন বা পুনরায় দিবেন। 

তারপর নিচের 'এখানে ক্লিক করে একাউন্ট তৈরি করুন' বাটনটিতে প্রেস করবেন। ব্যাস, হয়ে গেল আপনার অনলাইন জিডি অ্যাকাউন্ট।

একাউন্ট ক্রিয়েট করা সফল হলে আপনি নিচের ইমেজটির মতো একটি সাকসেসফুল একাউন্ট ক্রিয়েশন পপআপ দেখবেন।


তারপর OK প্রেস করবেন। অনলাইন জিডি অ্যাপে আপনার রেজিস্ট্রেশন শেষ। এবার জিডি করার পালা।

ধাপ-৪ : অনলাইনে জিডি করা

এবার অনলাইনে জিডি করার জন্য সর্বপ্রথম যে অ্যাপসটি ইনস্টল করেছিলেন সেটি ওপেন করবেন।

তারপর যে ইন্টারফেস আসবে তার নিচে 'প্রবেশ করুন' নামের বাটন আছে। সেটিতে ক্লিক করবেন। তারপর নিচের ইমেজের মতো একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে।


এখন আপনি একটু আগে রেজিস্ট্রেশন করার সময় যে মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট তৈরি করেছিলেন সেগুলো ঠিকমতো 'ব্যবহারকারীর মোবাইল নাম্বার' এবং 'পাসওয়ার্ড' ঘরে বসিয়ে নিচের নীল কালারের 'প্রবেশ করুন' বাটনে প্রেস করবেন।

তারপর আপনার সম্পূর্ণ ঠিকানা সম্বলিত একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে ঠিক নিচের ছবির মতো। 


এখানে আপনার জেলা, থানা, ইউনিয়ন, পোস্টাল কোড ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য দেখাবে। অর্থাৎ NID করার সময় যে সমস্ত তথ্য দিয়েছিলেন তা এখানে শো করবে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্ক্রিনের নিচের 'পরবর্তী' বাটনে ক্লিক করবেন।

তারপর 'জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য এবং ব্যবহারকারীর বিবরণ' শিরোনামে আপনার ছবি সম্বলিত তথ্যগুলো আসবে। এখান থেকে 'পরবর্তী' বাটনে প্রেস করবেন।


নতুন একটি ইন্টারফেস ওপেন হবে। এখানে আপনাকে সিগনেচার করতে হবে। সিগনেচার করার জন্য ইন্টারফেসটির 'এখানে ক্লিক করুন' নামের নীল কালারের লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে।


তারপর যে স্ক্রিনটি ওপেন হবে তার উপর আঙুল দিয়ে নিজের নাম লিখে সিগনেচার করতে হবে। সিগনেচার করা হয়ে গেলে স্ক্রিনের নিচের দিকের কোনার সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করবেন।


তারপর 'অভিনন্দন, আপনার সিগনেচারটি সংরক্ষিত হয়েছে' বলে একটি পপআপ আসবে, এখানে আপনি OK বাটনে প্রেস করবেন। এরপর নতুন আরেকটি ইন্টারফেস আসবে সেখান থেকে পরবর্তী বাটনে প্রেস করবেন। এসব আর ইমেজ দিয়ে দেখালাম না।

এর পরের স্ক্রিনে আপনাকে মোবাইল নাম্বার, মোবাইল অপারেটর এবং জিমেইল দিতে হবে।


তারপর 'সাবমিট করুন' বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার ফোন নাম্বারে একটি 6 ডিজিটের  OTP কোড পাঠানো হবে। OTP কোডটি ঠিকঠাকভাবে বসালে নিচের মতো একটি পপআপ আসবে।


এরপর 'প্রবেশ করুন' বাটনে ক্লিক করবেন। এবার আবারো Username এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করবেন। আপনার কাছ থেকে আরেকটি পারমিশন চাইবে। Allow করে দিবেন। এটা আর ইমেজ দিয়ে দেখালাম না।

তারপর নিচের ইমেজটির মতো একটি ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে আপনার মোবাইলে।


এখান থেকে আপনি আগে কোন জিডি করে থাকলে প্রথম অপশন 'অপেক্ষমান আবেদন' থেকে সেটার অবস্থা জানতে পারবেন।

এরপরের 'গৃহীত আবেদন' থেকে জানতে পারবেন আগে কোন জিডি করে থাকলে তা গৃহীত হয়েছে কিনা।

কোন জিডি আবেদন রিজেক্ট হলে সেটা তৃতীয় অপশন 'অগৃহীত আবেদন' অপশন থেকে জানতে পারবেন।

আপনার জিডি তদন্তনাধীন থাকলে সেটা চতুর্থ অপশন 'তদন্তাধীন জিডি' এবং জিডি নিষ্পত্তি হয়ে গেলে 'নিষ্পত্তিকৃত জিডি' থেকে জানতে পারবেন।

এবার আসি নিচের অপশন দুইটিতে অর্থাৎ 'হারানো' এবং 'পাওয়া'। বলা বাহুল্য, আপনি অনলাইনে জিডি করতে পারবেন দুই ক্ষেত্রে।
  • কোন কিছু হারিয়ে গেলে
  • কোন কিছু পেলে
'হারানো' অপশনে প্রেস করলে নিচের ইমেজটির মতো কতোগুলো প্রায় সময়ই হারিয়ে যায় এমন কিছু জিনিসপত্র দেখাবে। যেমন -

  • মোবাইল
  • যানবাহন
  • কম্পিউটার
  • ডকুমেন্ট
  • কার্ড
  • গহনা
আপনার যদি এর বাইরে অন্যান্য জিনিস হারিয়ে যায় তাহলে 'অন্যান্য' অপশনে প্রেস করে জিডি করতে পারবেন।

কোন কিছু হারানো এবং পাওয়া ছাড়া অন্যান্য সব জিডির ক্ষেত্রে আপনাকে সশরীরে থানায় যেতে হবে। এবার আমি আপনাদের কোন কিছু হারিয়ে গেলে কিভাবে জিডি করতে হয়, যেমন আপনার প্রিয় এন্ড্রয়েড ফোনটি হারিয়ে গেলসেক্ষেত্রে মোবাইল হারিয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিব। তার আগে অনলাইনে জিডি কপি কিভাবে ডাউনলোড করতে হয় তা দেখায় চলুন।

জিডির অনলাইন কপি যেভাবে ডাউনলোড করবেন 

আপনি যদি অনলাইনে জিডি করে থাকেন এবং যদি এটি সাকসেসফুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার জিডির একটি অনলাইন কপি থাকবে যেটা আপনাকে প্রিন্ট করে বা মোবাইলে পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে হবে।

জিডি নিষ্পত্তি হয়ে গেলেই এটি পাওয়া যায়। জিডির অনলাইন কপি কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড করা খুবই সহজ। তবে মোবাইল থেকে করতে গেলে কিছুটা ঝামেলা আছে। 

সমস্যা নেই, আপনাদের প্রথমে কম্পিউটার থেকে জিডির অনলাইন কপি ডাউনলোড এবং পরবর্তীতে এটি মোবাইল থেকে কীভাবে করবেন তা দেখানো হবে।

কম্পিউটার থেকে জিডির অনলাইন কপি ডাউনলোড

প্রথমেই আপনাদেরকে আপনাদের কম্পিউটারের ক্রোম ব্রাউজার বা অন্য কোন ব্রাউজার থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের এই লিংকে চলে যেতে হবে।

অথবা সার্চ বারে গিয়ে লিখতে হবে gd.police.gov.bd। এবার ওয়েবসাইটটিতে আপনাকে লগ ইন করতে হবে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে।

এখানে ইউজার আইডি বলতে আপনি একাউন্ট করতে যে মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করেছিলেন সেটি।


যথাযথ ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলে নিচের ইমেজটির মতো একটি ড্যাশবোর্ড দেখাবে। এখানে থেকে আপনার অনলাইন জিডি সাকসেসফুল হলে 'নিষ্পত্তি' অপশন থেকে ঐ জিডির কপি ডাউনলোড করতে হবে।


'নিষ্পত্তি' অপশনে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর নতুন একটি পপআপ আসবে। যেখানে নিচের ইমেজটির মতো আপনার জিডির ধরন, জিডির ট্র্যাকিং নম্বর, জিডি নম্বর, আবেদনের সময় ও তারিখ ইত্যাদি দেখাবে।

সেখান থেকে সবার লাস্ট অপশন 'বিস্তারিত' এর আন্ডারে লাল মার্ক করে দেওয়া বিস্তারিত বাটনটিতে ক্লিক করবেন।

তারপর সম্পূর্ণ জিডিটি আপনাকে দেখানো হবে যেখানে জিডি নাম্বার, তারিখ এবং কোন থানা বরাবর আবেদন করা হয়েছে তা থাকবে ঠিক নিচের ছবির মতো। 


আবার এর নিচে ঐ থানার কোন অফিসার আপনার জিডির দায়িত্বে ছিলেন তার নামসহ কম্পিউটার জেনারেটেড সিগনেচার দেখাবে।

এবার জিডির কপিটি ডাউনলোড করার পালা। ডাউনলোড করার জন্য মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর সেখান থেকে 'Print' অপশনে ক্লিক করবেন।


তারপর জিডিটি আপনাকে প্রিন্ট প্রিভিউতে দেখানো হবে। যদি আপনার প্রিন্টার থাকে তাহলে সরাসরি প্রিন্ট করে বের করতে পারবেন। আর যদি না থাকে তাহলে নিচের ইমেজের লাল মার্ক করা ঘরটিতে 'Save as PDF' অপশনটি সিলেক্ট করবেন।


তারপর 'Save' বাটনে ক্লিক করে আপনার কম্পিউটারের নির্দিষ্ট ফোল্ডারে সেটিকে ডাউনলোড করে নিবেন। ব্যাস, হয়ে গেল আপনার জিডির অনলাইন কপি কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড

আপনার জন্য আরো আর্টিকেল,

জিডির অনলাইন কপি মোবাইল থেকে যেভাবে ডাউনলোড করবেন 

এবার চলুন জিডির অনলাইন কপি মোবাইল থেকে কিভাবে করবেন দেখে নেয়া যাক। ঠিক আগে যেভাবে করেছিলেন, অনলাইন জিডি অ্যাপটিতে লগ ইন করবেন ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে।

'তদন্তনাধীনে' (০) না থাকলে বুঝবেন আপনার জিডিটি এপ্রুভ হয়েছে। 'তদন্তনাধীন' বা 'নিষ্পত্তি' অপশনে ক্লিক করবেন। একটি পপআপ শো করবে আগের মতো যেখানে জিডি ট্র্যাকিং নম্বর, তারিখ ও সময়, জিডির ধরন, জিডি নম্বরসহ সব দেখাবে।

এবার আপনি একটু সাইডে স্ক্রল করে 'আবেদন' অপশনে ক্লিক করবেন। 


তারপর দেখবেন নিচের ইমেজটির মতো জিডির পেজটি সম্পূর্ণ শো করবে। সবার ওপরে দেখবেন নীল কালারের প্রিন্ট বাটন শো করবে। এখানে প্রাইভেসির কারণে জিডির কপিটি ব্লার করে দেওয়া হয়েছে।

প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করার পর জিডিটি দেখবেন PDF আকারে শো করবে। এবার ছবিতে লাল মার্ক করা লাইট গ্রিন কালারের 'PDF' বাটনে ক্লিক করলে এটি আপনার মোবাইলে সেভ হয়ে যাবে। এইতো গেল আপনার জিডির অনলাইন কপি কিভাবে মোবাইল থেকে ডাউনলোড করবেন

ধাপ-৫ : মোবাইল হারিয়ে গেলে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম 

এখান থেকে খুব সহজেই মোবাইল হারিয়ে গেলে অনলাইনে জিডি যেভাবে করবেন স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দেওয়া হলো।

আমি 'চুরিতে' ক্লিক করলাম। তারপর দুটি অপশন আসবে যানবাহন এবং অন্যান্য। আমি অন্যান্য সিলেক্ট করলাম। সিলেক্ট করার পর বিভিন্ন জিনিসের অপশন আসবে। যেমন মোবাইল ফোন, ডকুমেন্ট কম্পিউটার ইত্যাদি। ধরলাম আমার মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে সেক্ষেত্রে আমি মোবাইল ফোনে ক্লিক করলাম। এর পরের অপশনগুলোতে মোবাইলের ধরন, মডেল, অপারেটিং সিস্টেম, মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার, ব্যাটারি, রেম ইত্যাদি ইনফরমেশন চাইবে। মোবাইলের ধরন অপশনে আপনার ফোন যদি এন্ড্রয়েড ফোন হয় তাহলে স্মার্ট ফোন সিলেক্ট করে দিবেন। তারপর মোবাইলের 'মডেল' অপশনে আপনার স্মার্ট ফোনটির মডেল দিয়ে দিবেন। যেমন , Xiaomi Redmi Note 9। অপারেটিং সিস্টেম দেওয়ার ঘরে আপনার মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম জানা না থাকলে ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে আপনার ফোনের মডেল লিখে অপারেটিং সিস্টেম লিখে সার্চ দিলেই চলে আসবে। যেমন, redmi note 9 operating system। তারপর আইএমই নম্বর দেওয়ার অপশন। এখন আপনার মোবাইল ফোনের আইএমই নাম্বারটি যদি না জানেন তাহলে মোবাইলের ডায়ালপ্যাডে গিয়ে *#06# লিখলেই IMEI নাম্বার দুটি চলে আসবে। এর যেকোন একটি দিলেই চলবে। তারপর আপনার ফোনের ব্যাটারি কত mAh এর সেটা দিবেন। যেমন রেডমির 5000mAh। তারপর দিবেন রেমের তথ্য আপনার ফোনের রেম কত জিবি সেটা দিবেন।

এরপরের অপশন শনাক্তকরণ তথ্য। এসবের মধ্যে রয়েছে ফোনের কালার, মেমোর ছবি। এক্ষেত্রে অন্যান্য অপশনের ইনফরমেশন গুলো যদি আপনার থাকে তাহলে দিতে পারেন। না দিতে পারলেও কোন সবস্যা নেই।

তারপর আসে স্থান, সময় এবং ঘটনার বিবরণ। এখানে আপনার ফোন কোথা থেকে হারিয়ে গিয়েছে, জেলা কি ছিল, থানার নাম ইত্যাদি দিবেন। ঘটনার বিবরণে আপনার ফোন কিভাবে হারিয়ে গিয়েছিল সম্পূর্ণ ঘটনাটির একটি বিবরণ লিখবেন।

এবার জিডিটি আপনি নিজের জন্য করলে নিজে এবং অন্য কারো জন্য করলে অন্য জন অপশনটি সিলেক্ট করে দিবেন। তারপর পরবর্তী অপশনে প্রেস করবেন। এখন আপনার ফোনের ডিটেইলস দেখাবে। অর্থাৎ আপনি যা যা ইনফরমেশন দিয়েছেন তা। তারপর উপরের Final Submit অপশনে ক্লিক করে ফাইনাল সাবমিট করে দিবেন।

এখন 'তথ্য প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে' বলে একটি জিডি কোড বা জিডি নাম্বার আপনাকে দেওয়া হবে। কোডটিকে যত্ন সহকারে ডাইরিতে লিখে রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তীতে যেকোন প্রয়োজনে আপনার এই জিডি কোডটি প্রয়োজন হবে।

উপরের Go Back to Home অপশনে ক্লিক করে আপনি প্রথমে যে হোমপেজে ছিলেন সেখানে চলে আসবেন। এখানে অপেক্ষমান আবেদন 1 দেখাবে, গৃহীত আবেদন 1 দেখাবে, অগৃহীত হলে তাও দেখাবে। তারপর তদন্তনাধীন থাকলে সংখ্যাটা দেখাবে। নিষ্পত্তি হয়ে গেলে সেটাও দেখাবে।

এবার সম্পন্ন হয়ে গেল আপনাদের জিডি করার কাজ। আপনি চাইলে মাঝে মাঝে এখানে এসে দেখতে পারেন আপনার জিডির কি অবস্থা। এভাবেই আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে জিডি করে ফেলতে পারেন। সর্বোপরি ধন্যবাদ টিউটোরিয়ালটি পড়ার জন্য। কমেন্ট বক্সে জানাবেন আপনার উপকার হলো কিনা।

অনলাইন জিডি সম্পর্কে আরো ডিটেইলস জানতে চাইলে ভিজিট করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url