পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়; ১২টি বিষয় চেক না করলে ঠকবেন

পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন ভাবছেন? এই ১২টি বিষয় যাচাই করে কিনলে মোটেও লস করবেন না। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় এই ১২টি বিষয় এবং সেগুলো কি চলুন আপনাদের বুঝিয়ে দিই। আর্টিকেলটি পড়লে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ব্যাপারে আপনি কখনোই ঠকবেন না। তাই ধৈর্য্য নিয়ে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়গুলো দেখুন।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়

আজকাল বিশেষ করে মার্কেটে অনেক বেশি পুরাতন ল্যাপটপ হালকা মডিফাই করে একদমই নতুনের মতো বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি একটু চালাক না হলে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে গেলে খুব বড় আকারে ঠকবেন।

তাই আপনার প্রয়োজন এই ব্যাপারে বিস্তারিত আইডিয়া। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় এই ১২টি‌ বিষয় যদি আপনার জানা থাকে কখনোই আপনি ঠকবেন না। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

১. বডির কন্ডিশন

কেনার আগে ল্যাপটপের আউটলুকটা দেখবেন। আউটলুকটা দেখেও কিন্তু ধারণা পাওয়া যায় যে এটা কি পরিমান ব্যবহার হয়েছে বা এটার কন্ডিশনটা কেমন। যেমন, ডিসপ্লেতে কোন স্ক্র্যাচ আছে কিনা বা বডিতে কোন অংশ ফেটে গেছে কিনা ইত্যাদি। এ ধরনের কোন প্রবলেম আছে কিনা এটা একটু দেখবেন। তবে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেটা নিয়ে পরের স্টেপে আলোচনা করছি।

২. কত সালে মার্কেটে এসেছে চেক করুন

আপনি যখন ল্যাপটপ কেনার জন্য দোকানে যান তখন দোকানদার বলে এই ল্যাপটপটা অনলি এক বছর ইউজ হয়েছে বা‌ ছয়মাস ইউজ হয়েছে। এটা প্রায় সব দোকানদারই করে থাকে। আপনার এটা বিশ্বাস করার একদমই দরকার নেই।

যেভাবে ল্যাপটপের উৎপাদন তারিখ বের করবেন

আপনি প্র্যাকটিক্যালি টেস্ট করে দেখেন যে এই ল্যাপটপটার উৎপাদনের তারিখ কত। প্রসেসটা আমি আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি।

ল্যাপটপের উইন্ডোজ বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর সার্চ বারে run লিখে সফটওয়্যাটিতে যাবেন। 

তারপর cmd লিখে ok প্রেস করবেন।

এবার আপনার সামনে যে সারফেসটি আসছে সেখানে লিখবেন systeminfo.exe। এন্টার প্রেস করবেন। নিচের ছবির মতোই।

এবার আপনার সামনে যে তথ্যগুলো আসবে সেখান থেকে উপরের দিকে দেখতে পাবেন BIOS Version নামে একটা‌ অপশন আছে। একই লাইনেই লাস্টের দিকে দেখবেন এখানে একটা date দেখাচ্ছে। এটাই হলো ল্যাপটপটির উৎপাদনের তারিখ।

এটা দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ল্যাপটপটা কবে মার্কেটে এসেছে। সুতরাং দোকানির কথা বিশ্বাসের একদমই দরকার নেই।

৩. কোন ল্যাপটপ কিনবেন 

সবসময়ই চেষ্টা করবেন Business Series এর ল্যাপটপগুলো কেনার জন্য। এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে বিজনেস সিরিজের ল্যাপটপ কোনগুলো। বিখ্যাত ল্যাপটপ ব্র্যান্ডগুলোর কথাই যদি‌ বলি তাহলে hp এর ক্ষেত্রে ELIT BOOK, Dell এর ক্ষেত্রে LATITUDE এবং Lenovo এর ক্ষেত্রে হলো THINKPAD বিজনেস সিরিজের ল্যাপটপ।

আশা করি উত্তর পেয়েছেন। কারণ বিজনেস সিরিজের ল্যাপটপগুলোর কিন্তু লং লাস্টিবিলিটি তুলনামূলক বেশি। তবে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে আপনার বাজেটে কোন ল্যাপটপটি বেস্ট হবে সেটা নিয়ে বিশদ, বিস্তারিত এবং তথ্যবহুল একটা আর্টিকেল আছে। চাইলে দেখে আসতে পারেন।

৪.‌ পুরাতন ল্যাপটপ কোথা থেকে কিনবেন? 

এটা একটা বড় প্রশ্ন যে পুরাতন ল্যাপটপ কোথা থেকে কিনলে ভালো হবে। অনলাইন থেকে কেনা যায়, কোন শপ থেকে কিনতে পারেন বা একদমই ভালো হয় কোন বন্ধু বান্ধব বা পরিচিত কারো কাছ থেকে পেলে। কারণ এটা হলে আপনি একদম নিজের ইচ্ছেমতো দেখে শুনে কিনতে পারবেন।

আর যদি মনে করেন অনলাইন থেকে কিনবেন তাহলে সেলারের সাথে কথা বলে খুব দেখেশুনে নিতে হবে। যেমন কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা ইত্যাদি। কারণ অনেক সময় যেটা হয় অনলাইনে বা বিক্রয় ডটকমে তারা চোরাই ল্যাপটপ বিক্রি করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার মামলায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শপের ক্ষেত্রেও আপনার এলাকায় সবচেয়ে ভালো শপ দেখে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে এখানে যে টেস্টগুলো দেখাব সেগুলো ঠিকমতো করে ল্যাপটপটি যাচাই করে নিবেন। পরের স্টেপ হলো ল্যাপটপের প্রাণভোমরা ব্যাটারি নিয়ে।

৫. ল্যাপটপের ব্যাটারি কন্ডিশন চেক করুন

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতে হয় ব্যাটারি কন্ডিশনের দিকে। কারণ ব্যাটারি কন্ডিশন খারাপ হলে পুরো ল্যাপটপটাই ভ্যালুলেস টাইপের হয়ে যায়। কারণ দিনশেষে ম্যাটার করে এটিকে একবার চার্জ দিয়ে কত ঘন্টা চালাতে পারছেন সেটা। অ্যাপল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের মতো আপনি চাইলে নিজেই কিনতে যাওয়া ল্যাপটপটির ব্যাটারি কন্ডিশন চেক করতে পারেন। চলুন দেখে আসি এটা কিভাবে করে।

ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ যেভাবে যাচাই করবেন 

এটা চেক করার জন্য আপনি ল্যাপটপের উইন্ডোজ বারে লিখবেন cmd। এরপর command prompt নামের সফটওয়্যারটিতে ক্লিক করবেন।

যে ইন্টারফেসটা আসবে সেখানে লিখবেন   powercfg /batteryreport। লিখে এন্টার প্রেস করবেন (নিচের ছবির মতো)।

তারপর আপনার সামনে একটা লিংক শো করবে। এই লিংকটা C থেকে শুরু করে html পর্যন্ত কপি করে নিবেন।

এবার কোন একটা ব্রাউজারে (ক্রোম) গিয়ে এটা পেস্ট করে এন্টার দিবেন। দেওয়ার সাথে সাথে এখানে বেশ কিছু ইনফরমেশন দেখাবে। এবার একটু স্ক্রল করে নিচের দিকে আসবেন। এখানে আপনাকে Design capacity দেখাবে এবং তার নিচে Full charge capacity দেখাবে।

এই দুইটা ভ্যালু থেকে আপনি ব্যাটারি হেলথ পার্সেন্টেজ বের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি একটা ফর্মুলা অনুসরণ করবেন।

নিচের Full charge capacity-র যে ভ্যালুটা আছে তার সাথে 100 গুণ করবেন। গুণফলকে উপরের যে ডিজাইন ক্যাপাসিটির যে ভ্যালুটা আছে সেটা দিয়ে ভাগ করবেন। ফলাফল যা আসবে তাই হলো ব্যাটারি কন্ডিশন। আমার ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এসেছে 67.4%।

এখন প্রশ্ন হলো কতো পার্সেন্ট ব্যাটারি হেলথ কন্ডিশন থাকলে ল্যাপটপ কেনা উচিত। রিকমেন্ডেড হলো, 80% এর নিচে যদি ব্যাটারি হেলথ চলে যায় তাহলে ল্যাপটপটা নেওয়া খুব একটা উচিত হবে না।

তবে দামে যদি খুব বেশি কম পান বা আপনার যদি প্রয়োজন হয় নিতে পারেন। কিন্তু যদি ল্যাপটপ থেকে ভালো পারফরমেন্স আশা করেন তাহলে 80% ব্যাটারি হেলথ আছে এমন ল্যাপটপই নিতে হবে।

৬. ডিসপ্লে ঠিক আছে কিনা দেখুন 

ল্যাপটপ জাতীয় যেকোন ডিভাইসের ক্ষেত্রে ডিসপ্লে অনেক বেশি ইম্পোর্টেন্ট। কারণ যাবতীয় কাজকর্ম সব ডিসপ্লে দিয়েই হয়। সেজন্য ডিসপ্লে টেস্টিং ছাড়া ল্যাপটপ নিলে এটা হবে বোকামি।

অনলাইন থেকেই আপনি চাইলে ডিসপ্লে টেস্ট করতে পারেন। ক্রোম ব্রাউজার বা যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে লিখবেন online display test

এখানে মোট 13টি টেস্ট দেখাবে। আপনি চাইলে সবগুলো টেস্ট একে একে করতে পারেন বা যে টেস্টটি করবেন তার উপর টিক চিহ্ন দিয়ে টেস্ট‌ করতে পারেন।

প্রথম টেস্টটির বেলায় একটা ব্ল্যাক স্ক্রিন আসবে বা আপনার স্ক্রিন ব্ল্যাক হয়ে যাবে। এখান থেকে ডিসপ্লেতে কোন হোয়াইট স্পট আছে কিনা দেখতে পারবেন।

হোয়াইট ডিসপ্লে টেস্টের বেলায় কোন ব্ল্যাক স্পট আছে কিনা দেখতে পারবেন। আবার রেড কালার টেস্টে কোন স্পট আছে কিনা তাও দেখতে পারেন।এভাবে সবগুলো কালার টেস্টই আপনারা করতে পারবেন। 

এমনকি শার্পনেস বা ভিউ এঙ্গেলও টেস্ট করতে পারবেন। সব টেস্ট করে দেখে যদি আপনার মনে হয় ঠিকঠাক আছে তাহলেতো ডিসপ্লে টেস্ট পাস।

আর যেসব ল্যাপটপে টাচস্ক্রিন আছে সেগুলোও টেস্ট করে নেওয়া ভালো। এক্ষেত্রে উইন্ডোজের পেইন্ট অপশনটা চালু করে পেইন্ট করে দেখতে পারেন টাচ ঠিক কাজ করছে কিনা।

এবার আসি পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হার্ডডিস্ক কন্ডিশন যাচাইয়ে।

৭. হার্ডডিস্ক ঠিক আছে কিনা দেখুন

পুরাতন ল্যাপটপ হলেওতো তার কাছ থেকে আপনি স্পিডি পারফরম্যান্স আশা করেন, তাই না? তাহলে আপনাকে ব্যাটারি কন্ডিশন যাচাইয়ের পরেই দেখতে হবে হার্ডডিস্ক ঠিক আছে কিনা।

দুইভাবে এটা চেক করতে হবে-

  • হার্ডডিস্কের বর্তমান কন্ডিশন কেমন
  • এটা কি SSD নাকি পুরাতন HDD

কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক যদি SSD হয় তাহলে স্পিড অনেক বেশি পাবেন HDD এর তুলনায়। যেমন, উইন্ডোজ ওপেন হতে SSD-তে সময় লাগে 10 - 12 সেকেন্ড যেখানে HDD তে লাগে প্রায় 40 - 45 সেকেন্ড। তাহলে বুঝতেই পারছেন কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে SSD থাকলে এর স্পিড কতটা ফাস্ট হবে।

যাইহোক, টেস্ট করার জন্য আপনাকে কিবোর্ড থেকে Ctrl + Shift + Esc প্রেস করতে হবে। তিনটা বাটনই একবারে প্রেস করে ধরে রাখতে হবে।

সামনে যে ইন্টারফেসটা আসবে সেখান থেকে performance সেকশনে ক্লিক করবেন।

তারপর পাশেই ডিস্কগুলো দেখতে পাবেন। ডিস্কের নিচেই ছোট করে লেখা আছে HDD নাকি SSD (নিচের ইমেজের মতো)। 

সো সবসময় চেষ্টা করবেন SSD আছে কিনা ল্যাপটপে সেটা দেখে কিনতে। কারণ HDD এর স্পিডও দূর্বল হয়ে থাকে এবং অধিকাংশ সময় এগুলো নষ্টও হয়ে যায়।

যেভাবে হার্ডডিস্কের হেলথ চেক করবেন

এখন শুধু হার্ডডিস্ক কেমন সেটা দেখে কিনলেই হবে না হার্ডডিস্কের ব্যাটারি হেল্থও কেমন তা দেখতে হবে। এই Hard Disc health check থেকে আপনি চাইলে সহজেই হার্ডডিস্ক হেলথ চেক করে নিতে পারবেন।

ওয়েবসাইটটিতে যাওয়ার পর যাস্ট নরমালি সফটওয়্যারটিকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিবেন। 

ইনস্টল করে ওপেন করার পর আপনার সামনে নিচের ইমেজের মতো একটি ইন্টারফেস শো করবে। এখান থেকে আপনার HDD বা SSD এর ব্যাটারি হেলথ দেখাবে।

তো হার্ডডিস্কগুলো ভালো থাকলে অনেক সময় ব্যাটারি হেলথ 100% দেখাতে পারে। 100% দেখালে তো কোন সমস্যাই নেই। বাট যদি কোন প্রবলেম থাকে তাহলে 70%, 80% বা 90% ও দেখাতে পারে।

পরামর্শ থাকবে আপনি যদি HDD ওয়ালা ল্যাপটপ কিনতে চান আর তার ব্যাটারি হেলথ 80% বা তার উপরে থাকলে কিনবেন। 80% এর নিচে নেমে গেলে কেনার কোন দরকার নেই।

SSD এর ক্ষেত্রে 75% থাকলেও কিনতে পারেন। তবে এর নিচে নেমে গেলে কেনার দরকার নেই। এবার চলুন দেখে আসি যেটা ছাড়া কোন কাজই হয় না বা কম্পিউটারে অর্থাৎ কোন ইনপুটই দেওয়া যায় না- কিবোর্ডের ক্ষেত্রে।

৮. কিবোর্ড কন্ডিশন দেখে পুরাতন ল্যাপটপ কিনুন

ল্যাপটপের ক্ষেত্রে কিবোর্ড ঠিক আছে কিনা যাচাই করা একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে ডেস্কটপের মতো এখানে কিবোর্ড পরিবর্তন করা এত সহজ না। তাই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে কিবোর্ড চেক গুরুত্ব দিয়েই করতে হবে।

যেভাবে কিবোর্ড টেস্ট করবেন 

ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে টাইপ করবেন online keyboard test

এবার আপনার সামনে একটা ভার্চুয়াল কিবোর্ড প্রদর্শন হবে। ল্যাপটপের কিবোর্ড থেকে একটা করে 'কি' প্রেস করবেন আর ভার্চুয়াল কিবোর্ডে ঐ 'কি' গুলো সাদা হতে থাকবে নিচের ছবির মতো।

যদি সাদা না হয় তাহলে কিবোর্ডের ঐ নির্দিষ্ট 'কি'টি নষ্ট। এভাবে আপনারা প্রত্যেকটা বাটন প্রেস করে দেখবেন ঠিক আছে কিনা। এভাবেই চাইলে কিবোর্ড চেক করতে পারেন।

এবার আসে ওয়েবক্যাম টেস্টের পালা। ওয়েবক্যাম যারা চেনেন না তাদের বলে রাখি মনিটরের ওপরে সেলফি ক্যামেরার মতো যে ক্যামেরাটা আছে ঐটাই হলো ওয়েবক্যাম। যারা মাল্টিটাস্কিং করতে চান ল্যাপটপে তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ওয়েবক্যাম দরকার হতে পারে। চলুন তাহলে ওয়েবক্যামটাও টেস্ট করা যাক।

৯. যেভাবে ল্যাপটপের ওয়েবক্যাম টেস্ট করবেন 

যদি ওয়েবক্যাম টেস্ট করার জন্য ল্যাপটপে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটা করতে হবে তা হলো ক্রোমে গিয়ে সার্চ দিবেন online webcam test। 

এই ওয়েব সাইটটিতে গেলেই সামনের ক্যামেরা ওপেন হবে এবং খুব সহজেই ওয়েবক্যাম টেস্ট করতে পারবেন। যদি ওপেন না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে এটাতে ঘাপলা আছে।

১০. প্রসেসর জেনারেশন চেক; দোকানদারের কথা শুনে ইমপ্রেসড হচ্ছেন নাতো!

আপনি যখন পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে দোকানে গেছেন দোকানদার আপনাকে কনভিন্স করার জন্য বলবে এটা core i7 এর ল্যাপটপ এত কমে পাচ্ছেন বা এটা core i5 এর ল্যাপটপ খুব কম দামে দিচ্ছি।

এসব কথায় কিন্তু আপনার প্রভাবিত হওয়া চলবে না। এই যে ল্যাপটপের প্রসেসরটা core i5 হোক বা core i7, এটা কোন জেনারেশনের তা দেখতে হবে। আপনি আগে দেখবেন যে মার্কেটে এই মুহূর্তে কোন জেনারেশনটা চলছে।

ধরি মার্কেটে এই মুহূর্তে 14th জেনারেশনের ল্যাপটপ চলছে। কিন্তু আপনি যে ল্যাপটপটা কিনতে গিয়েছেন সেটা হলো 6th জেনারেশনের। তাহলে আপনার মোটেও কেনা ঠিক হবে না।

আপনি চেষ্টা করবেন অন্তত কারেন্ট যে জেনারেশনটা চলছে সেটা থেকে যেন সর্বোচ্চ দুই বা তিন জেনারেশনের পুরনো হয়। এর চেয়ে বেশি যেন না হয়। আর লেটেস্ট জেনারেশনের পুরাতন ল্যাপটপ পেলে তো কথাই নেই। নির্দ্বিধায় কিনে নিতে পারেন।

১১. সাউন্ড ঠিক আছে কিনা দেখুন

আপনি যেহেতু ল্যাপটপে ভিডিও প্লে করবেন বা অডিও প্লে করবেন সেহেতু ল্যাপটপের স্পিকারটা ঠিক আছে কিনা আপনাকে চেক করতে হবে। অনেকেই কি করে, ইউটিউব থেকে একটা গান বাজিয়ে দেখে, সেটা‌ বাজলেই মনে করে স্পিকার ঠিক আছে। 

কিন্তু আপনাকে আরেকটু‌ গভীরে গিয়ে টেস্ট করতে হবে।

ল্যাপটপের সাউন্ড টেস্ট করবেন যেভাবে 

সেটা করার জন্য ল্যাপটপের উইন্ডোজ মেনুতে গিয়ে লিখবেন sound বা‌ change system sound।

তারপর নিচের ইমেজের মতো sound এর আন্ডারে একটা ডায়ালগ বক্স চলে আসবে। উপরের মেন্যুগুলো থেকে playback অপশনটা সিলেক্ট করে speakers সিলেক্ট করে configure এ ক্লিক করবেন।

তারপর test বাটনের ওপর ক্লিক করলেই দেখবেন যে সাউন্ড বাজছে। এভাবে আপনারা দুই পাশের সাউন্ড শুনেই বুঝবেন স্পিকার ঠিক আছে কিনা।

এবার পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়গুলোর মধ্যে আরেকটা কাজ বাকি আছে সেটা হলো স্পেসিফিকেশন চেক।

১২. ল্যাপটপের স্পেসিফিকেশন চেক করুন

এটাতে বেশি কিছু বলব না। যাস্ট যে মডেলের ল্যাপটপটা কিনতে চাচ্ছেন সেটা গুগলে লিখে সার্চ করলেই ল্যাপটপটার স্পেসিফিকেশন চলে আসবে। সবকিছু দেখে নিবেন। তাহলে খুব ভালো আইডিয়া পাবেন।

শেষকথা

ফাইনালি বলব পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়গুলো একদম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি‌ যতগুলো টেস্ট দেখিয়েছি এবং যেসব বিষয়ে চেক দিতে বলেছি এগুলো মানলে খুব ভালো মানের একটা পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন আশা করি।

চাইলে পড়ে আসতে পারেন -

তারপরেও আরো কিছু বিষয় চেক করার আছে যেমন‌ fingerprint থাকলে সেটা চেক করে নিবেন। ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ল্যান পোর্ট ইত্যাদি ম্যানুয়ালি চেক করে নিবেন ঠিক‌ আছে কিনা।

তো কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন কেমন লাগলো আপনার বা কোন কিছু জানার থাকলে বলুন কমেন্ট বক্সে। রিপ্লাই দিতে চেষ্টা করব।

সোর্স: AFR Technology 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url