কখনো মোবাইল গরম বা হ্যাং করবে না; মাত্র ৫ উপায়ে (গ্যারান্টেড)

আমরা যারা স্মার্টফোন ইউজার তারা প্রতিনিয়ত একটা সমস্যায় ভুগে থাকি আর তা হলো মোবাইল অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় বা মোবাইল হ্যাং করে। আজকের এই আর্টিকেলে মোবাইল হ্যাং হলে করণীয় বিষয়ক এমন পাঁচটি ট্রিকস শেয়ার করব যা করলে আপনার প্রবলেম সলভড ১০০%।

মোবাইল হ্যাং হলে করণীয়

তবে যেসব কারণে মোবাইল হ্যাং হয় ঠিক ঐগুলোই মোবাইল গরম হওয়ার কারণ। তাই এই ট্রিকসগুলোই মোবাইল গরম হলে করণীয় এবং উভয়ক্ষেত্রেই সমানভাবে কার্যকর। আর্টিকেলটি ধৈর্য্য নিয়ে সম্পূর্ণভাবে পড়লে এবং সেই অনুযায়ী এখানে যা সেটিংস দেখাব তা আপনার ফোনে এপ্লাই করলে এই সমস্যা থেকে গ্যারান্টেড মুক্তি পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

ট্রিক্স-1: স্টোরেজ স্পেস ক্লিয়ার করুন; মোবাইল হ্যাং হলে করণীয়

প্রথমে ফোনের সেটিংস অ্যাপে যাবেন। তারপর সার্চ বারে নিচের মতো Storage লিখে সার্চ করবেন। কারণ এক এক ফোনে Storage অপশন এক এক জায়গায় থাকতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে এটি Memory নামে থাকতে পারে।তারপর Storage এ ক্লিক করবেন।

এবার আমি আমার ইন্টার্নাল স্টোরেজ অপশনে ক্লিক করলাম। দেখতেই পাচ্ছেন 59.8GB ফুলফিল আছে 128GB-র মধ্যে।

এবার আপনাকে ফোনের Video, Documents, Apps, system files ইত্যাদি কোনটি কত জায়গা বা স্পেস দখল করে আছে তা দেখাবে। একটু নিচের দিকে দেখতে পাবেন Free up 1.9GB নামে একটা নীল কালারের বাটন।

অর্থাৎ আমি যে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালিয়েছি এতক্ষণ মোবাইলে সেসব অ্যাপ নিজেদের প্রয়োজনে অনেক Cache Files তৈরি করেছে তার মানে আবর্জনা ফাইলস। এগুলো ক্লিয়ার করতে হবে। এভাবে একটু একটু Cache Files জমা হতে হতে একসময় দেখা যায় ফোনের পুরো স্টোরেজই ফুল হয়ে আছে তেমন Video বা Audio ইত্যাদি না থাকা সত্ত্বেও।

আমি এই নীল অপশনটাতে ক্লিক করে 1.9GB ক্লিয়ার করে নিলাম। আপনারাও এভাবে করবেন। এতে ফোন অনেক স্মুথ রান করবে। এসব Cache Files থাকলে ফোন স্লো এবং গরম হয়ে যায়।

ট্রিক্স - ২: ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস আর এনিমেশন অফ করুন; মোবাইল গরম হলে করণীয়

বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। যখনই কাজ শেষ হয় মাঝখনের হোম বাটনে ক্লিক করে আমরা হোম স্ক্রিনে এসে পড়ি। কিন্তু মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে ঠিকই ঐ অ্যাপটা রান করে। এভাবে যত বেশি অ্যাপস আমরা ইউজ করি তার সবগুলাই ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে RAM এর অনেক জায়গা দখল করে নিয়ে ফোন স্লো করে দেয়।

তাই আমাদের প্রথমে ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস লিমিট করে দিতে হবে অর্থাৎ কয়টা অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে সেটা আপনি চাইলে সেটিংস থেকে ঠিক করে দিতে পারবেন। তার পুরো প্রসেসটাই আপনাদের দেখাব।

প্রথমে ফোনের Settings অ্যাপে গিয়ে About Phone এ ক্লিক করবেন।


এরপর নিচের মতো Build Number বলে একটা অপশন দেখতে পাবেন। Xiaomi-র ফোন হলে MIUI Version নামের অপশন দেখাবে। ওখানে আপনার পরপর ৭ থেকে ৮ বার ক্লিক করতে হবে।
এবার ব্যাক বাটনে ক্লিক করে সেখান থেকে চলে আসবেন।।এখন আপনার ফোনে Developer Option নামের একটি প্রোগ্রাম চালু হয়ে গিয়েছে। আমার ফোনে এটি আমি Additional Settings-এ গিয়ে খুঁজে পেয়েছি। আপনারা আপনাদের ফোন থেকে খুঁজে নিবেন।
Developer Options এ ক্লিক করার পর এখান থেকে Background Process Limit খুঁজে বের করবেন নিচের মতো এবং ক্লিক করবেন। এই অপশনটি থেকেই আপনি ব্যাকগ্রাউন্ডে ১, ২, ৩, বা সর্বোচ্চ ৪ টি অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করাতে পারবেন।

এই অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর নিচের মতো কতগুলো সাব-অপশন দেখাবে।


এখানে বাই-ডিফল্ট Standard Limit সিলেক্ট করা থাকবে। যদি No background process এ ক্লিক করেন তাহলে কোন অ্যাপই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে না। তবে আমার মতে এটা না করাই ভালো কারণ সবসময় মোবাইল ঠিকঠাক ব্যবহারের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ডে দুই একটি অ্যাপস প্রয়োজন হয়।

এখান থেকে আপনারা চাইলে At most 2 processes বা At most 3 processes সিলেক্ট করে দিতে পারেন। এতে করে ব্যাকগ্রাউন্ডে দুই বা তিনটি অ্যাপের চেয়ে বেশি চলবে না। অর্থাৎ আপনি যদি একই সময়ে সাত থেকে আটটি অ্যাপসও ইউজ করেন তাহলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে হয় দুইটি নয় তিনটি। এতে করে আপনার ফোনের RAM-ও খালি থাকবে এবং ফোন আর হ্যাং বা গরম হবে না।

অযথা এনিমেশন অফ করুন

এই ট্রিক্সটা আপনার ফোন যদি অনেক পুরনো হয়ে থাকে তাহলে এপ্লাই করতে পারেন। যেমন আমরা যখন ফোনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায় অর্থাৎ একটা অ্যাপ থেকে আরেকটা অ্যাপে তখন ফোনে ঢেউ খেলানো কিছু এনিমেশন দেখা যায়।

এটা ফোনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলেও একটা অপ্রয়োজনীয় কাজ যার জন্য অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয় এবং ফোনের RAM কম হয়ে থাকলে তার ওপর প্রেশার পড়ে। তাএ এটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। চলুন দেখা যাক কিভাবে মোবাইলের এনিমেশন অফ করবেন

এর জন্য আবার Developer Options এ যাবেন। তারপর নিচের ছবির মতো Windows Animation Scale খুজে বের করবেন এবং সেখান থেকে Animation Off অপশনে ক্লিক করে এনিমেশন বন্ধ করে দিবেন।


এতে করে হয়তো দেখতে ভালো লাগবে না কিন্তু আপনার ফোন আগের চেয়ে অনেক স্মুথ রান করবে।

ট্রিক্স - ৩: অ্যাপসের Cache Data ক্লিয়ার করুন

প্রথম ট্রিক্সে আপনাদের Cache Files কিভাবে ডিলিট করতে হয় দেখিয়েছি। তবে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপস যেগুলো আপনারা সর্বাধিক ব্যবহার করেন যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম, ক্রোম ইত্যাদি তাদের কাজের প্রয়োজনে অনেক Cache Data নামে জাঙ্ক ফাইলস তৈরি করে।

প্রত্যেকটা অ্যাপের জাঙ্ক ফাইলসগুলো আলাদা আলাদাভাবে ক্লিন করতে হবে। চলুন আপনাদেরকে একটা দেখিয়ে দিই। আমি এখন ফেসবুকের Cache Data ক্লিয়ার করব। এজন্য ফেসবুক অ্যাপটার ওপর প্রথমে দুই সেকেন্ড ক্লিক করে ধরে থাকব। এখন App Info নামের একটি অপশন আসবে। এটাতে ক্লিক করলাম।

এবার নিচের ইমেজের মতো একটি ইন্টারফেস আসবে। এখান থেকে Storage অপশনে ক্লিক করবেন।


এরপর আবারো একটি ইন্টারফেস আসবে নিচের ইমেজের মতো যেখানে দেখতে পাচ্ছেন অ্যাপটার Total Size হলো 1.18GB। যেখানে মূল অ্যাপটার সাইজ মাত্র 476MB এবং ইউজার ডাটা 705MB। কিন্তু বাকি Cache 281 MB হলো সম্পূর্ণ রুপে অপ্রয়োজনীয় ফাইলস যা স্টোরেজ বাড়িয়ে মোবাইলকে স্লো করে দেয়। ঠিক এইটাই ক্লিন করা প্রয়োজন।



এখন নিচের দিকে মাঝখানে Clear Data বাটনে ক্লিক করবেন। তারপর দুইটা অপশন আসবে সেখান থেকে Clear Cache অপশনে ক্লিক করে সকল ক্যাশ ডাটা ক্লিয়ার করে নিবেন।

এভাবে আপনি বেশি ব্যবহার করেন এরকম প্রত্যেকটি অ্যাপসের ক্যাশ ডাটাগুলো একই পদ্ধতিতে ক্লিয়ার করে নিবেন। এর ফলে ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ হালকা হয়ে মোবাইল অনেক বেশি ফাস্ট কাজ করবে।

ট্রিক্স - ৪: অ্যাপসের Lite Version ব্যবহার করুন

যেকোন অ্যাপসের লাইট ভার্সন ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি মোবাইলের ইন্টার্নাল মেমোরি খালি রাখার ক্ষেত্রে। আপনাদের একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। আমি যদি মূল ফেসবুক অ্যাপটি ব্যবহার করি তাহলে এর সাইজ দেখতে পাচ্ছেন 64 MB।


কিন্তু আমি এটার বদলে যদি ফেসবুকের লাইট ভার্সন Facebook Lite ব্যবহার করি তাহলে এর সাইজ হচ্ছে মাত্র 2.6MB। 



তাহলে দেখুন আপনি পুরো 62MB  বাদ দিতে পারছেন যদি Facebook Lite ব্যবহার করেন। 

যদিও সামান্য লিমিটেশন আছে ফেসবুক লাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কিন্তু এটা তেমন কোন সমস্যা না। আপনি প্রায় সব কাজই এটা দিয়ে চালিয়ে নিতে পারবেন।

এভাবে Instagram Lite, Messenger Lite, Whatsapp Lite ইত্যাদি লাইট অ্যাপসগুলো ব্যবহার করলে ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ কম দখল করায় মোবাইল ফোন হ্যাং করে না।
💡
বোনাস টিপস 
আপনার ফোনে কোনো এক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য ইনস্টল করা দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত অ্যাপস গুলো আনইন্সটল করে দিন। এই একটা কাজ করলেই কোনো সন্দেহ ছাড়াই মোবাইল ফাস্ট হয়ে যাবে।

এবার আসি পাঁচ নাম্বার ট্রিক্সে এবং তা হলো এক্সটার্নাল একটা SD Card ব্যবহার করা।

ট্রিক্স - 5: এক্সটার্নাল SD Card বা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করুন

এই ট্রিক্সটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব এবং এটি আমি এপ্লাই করে খুব ভালো ফল পেয়েছি। আমার ফোন হলো Redmi Note 9 অর্থাৎ Xiaomi-র ফোন। এর ইন্টার্নাল স্টোরেজ 64GB, যা আমি মনে করি বর্তমান সময়ের অনেক ফোনের তুলনায় কম। এখনতো রেগুলার ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ সাইজ 128GB।

তাই আমি চট্টগ্রাম শহরের অনেক দোকানে দিনরাত খুঁজে বিখ্যাত SanDisc ব্র্যান্ডের একটি পিওর অরিজিনাল 32GB SD Card কিনি। যেহেতু এখন সবগুলো SD Card নকল এবং SanDisc এর বলে চালিয়ে দিচ্ছে। তাই আমার আসল এবং অরিজিনাল এসডি কার্ড খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হয় অরিজিনাল হওয়ায় আমার কাছ থেকে দাম রেখেছে 850 টাকা।

এবার আমি এই মেমোরি কার্ডটা আমার ফোনে ইনস্টল করলাম। তারপর আমার যাবতীয় Photo, Documents, Video সব ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ থেকে SD Card এ ট্রান্সফার করে নিলাম। সন্দেহাতীতভাবে আমার ফোনের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায় এবং ইন্টার্নাল স্টোরেজ প্রায় অর্ধেক খালি হয়ে যায়।

তাই আপনারাও একই কাজটা করতে পারেন। তবে বাজার থেকে অরিজিনাল এসডি কার্ড আপনাকে চিনতে হবে। এমনিতে অনেক নকল এসডি কার্ড 400 থেকে 500 টাকা ভিতর পাবেন। কিন্তু এগুলো মোবাইলে ইনস্টল করলে মোবাইল আরো স্লো হয়ে যাবে। তবে আমি তো 32GB কিনেছি। আপনারা চাইলে 64GB বা 128GB-ও কিনতে পারেন।
📓
নোট
ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ সবসময় 50% খালি রাখার চেষ্টা করবেন। যেমন ইন্টার্নাল স্টোরেজ 64GB হলে 32GB খালি রাখবেন। আর 128GB হলে 64GB খালি রাখবেন। এভাবে করলে মোবাইল কখনো হ্যাং করবে না আর স্লো হবে না।

মোবাইল হ্যাং হয়ে যাওয়া বন্ধ করার আরো কিছু বোনাস ট্রিকস

এবার আমি আপনাদের সাথে আরো দুই একটা বোনাস ট্রিকস শেয়ার করতে চাই। এগুলো হলো খুব কমন জিনিস যা আমাদের চোখে তেমন একটা পড়ে না। কিন্তু এগুলোর কারণে অনেক সময় মোবাইল স্লো হয়ে যায়। এতক্ষণ পড়লে আরেকটু ধৈর্য্য নিয়ে সাথে থাকুন। আপনারই উপকার হবে।

বোনাস ট্রিক্স - 1: উইজেট অফ করুন

এখন প্রশ্ন হলো উইজেট (Widget) কি? দেখুন মোবাইল ওপেন করলেই হোম স্ক্রিনের উপরের দিকে Temperature কত ডিগ্রি দেখায়, লোকেশন দেখায়, আজকের আবহাওয়া কেমন এটা দেখায়। এগুলোই হলো উইজেট যার প্রায় সবগুলোই অপ্রয়োজনীয়।

যেমন আমাদের সবসময় টেম্পারেচার কত ডিগ্রি তা দেখার প্রয়োজন হয় না বা আবার লোকেশন কোথায় এটা দেখারও প্রয়োজন হয় না। উপরন্তু টেম্পারেচার কত তা দেখাতে গিয়ে মোবাইলকে সবসময় সার্ভারের সাথে কানেক্ট থাকতে গিয়ে প্রসেসরকে সবসময় কাজ করতে হয়। মোবাইল ডাটা দিয়ে ইন্টারনেট চালালে আবার এটার জন্য এমবি-ও খরচ হয়।

মোবাইল স্লো হয়ে যাওয়ার কারণের মধ্যে এটা একটা ছোট কারণ। তাই আপনার উচিত এসব উইজেট হোম স্ক্রিন থেকে রিমুভ করে দেওয়া। এটা করার জন্য যাস্ট কয়েক সেকেন্ড এসব উইজেটের ওপর ক্লিক করে ধরবেন এবং সিম্পলি রিমুভ করে দিবেন।

বোনাস ট্রিক্স - ২: অকারণে সব সার্ভিস অফ রাখুন

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের ফোনে দেখা যায় সবসময় Bluetooth, Wifi, Location, Mobile Hotspot ইত্যাদি অন রাখেন। দেখুন এদের সবগুলোই কিন্তু সার্চিং অপশন। অর্থাৎ আশেপাশে খুঁজতে থাকে।

যেমন ফোনে Bluetooth চালু থাকলে সবসময় আশেপাশের অন্য কোন ডিভাইসে ব্লুটুথ চালু আছে কিনা সেটা আমাদের ফোন খুঁজতে থাকে। আবার ওয়াই-ফাই চালু থাকলে চারিদিকে ওয়াই-ফাই এর সন্ধান করতে থাকে ফোন।

এর ফলে প্রসেসরকে অনবরত কাজ করতে হয়। ফোন যদি এমনিতেই পুরাতন হয়ে থাকে তাহলে প্রসেসর অনেক দূর্বল থাকে, তার ওপর এসব সার্ভিস অন করা থাকলে প্রসেসর আরো দূর্বল হয়ে যায়। তার ওপর ব্যাটিরিও গরম হয়ে তাড়াতাড়ি চার্জ শেষ হয়ে যায়। তাই সবসময় অপ্রয়োজনে এসব সার্ভিস অফ রাখবেন।

বোনাস ট্রিক্স - ৩: SIM একটা চালু রাখুন

অনেক সময় এমন হয় যে আপনি দূরে বা প্রত্যন্ত কোন অঞ্চলে গিয়েছেন যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুবই দূর্বল। নেটওয়ার্ক থাকছে সর্বোচ্চ এক দাগ বা দুই দাগ। আবার আপনি সিমও ব্যবহার করছেন দুইটা। অর্থাৎ নেটওয়ার্ক পেতে আপনার ফোনকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

এমতাবস্থায় ব্যাটারি বেশি খরচ হয়ে চার্জও তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাবে। তাই ঐ সময়ে আপনার মেইন সিমটা চালু রাখবেন। অর্থাৎ যে সিমে কল বা যোগাযোগ বেশি হয় সেটি। আর অন্য সিমটি অফ অফ করে দিবেন।

শেষকথা

তো এই ছিল মোবাইল হ্যাং হলে করণীয় বিষয়গুলো। এসব আবার মোবাইল গরম হয়ে গেলে করণীয় বিষয়ও। দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে কার্যকর। এতদূর পর্যন্ত পড়ে থাকলে আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। ওহ! এসব কিছু এপ্লাই করার পর আপনার ফোন আগের চেয়ে স্পিড হয়েছে কিনা কমেন্ট বক্সে জানান। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url